কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় একটি ফিলিং স্টেশনের অটোগ্যাস লাইন ছিদ্র হয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় এর সব কার্যক্রম স্থগিতের জন্য সিলগালা করেছে প্রশাসন।
রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার থানা মোড় সংলগ্ন এলাকায় ফিলিং স্টেশন সিলগালা করে দুটি নোটিশ লাগানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, ‘মেসার্স বয়েজ উদ্দিন অটোগ্যাস অ্যান্ড ফিলিং স্টেশন নামের এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন স্থাপনের জন্য বিস্ফোরক পরিদপ্তরে ২০২৪ সালের ৩১ জুলাইয়ে প্রাথমিক নকশা অনুমোদন করা হয়।’
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, প্রস্তাবিত স্থানে মাটি ভরাট, অফিস ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ, কক্ষ নির্মাণসহ গ্যাসাধার ও ডিসপেন্সিং ইউনিট স্থাপনের জন্য প্রাথমিক নকশা অনুমোদন দেওয়া হয় এবং ওই গ্যাসাধারে এলপিজি মজুদসহ মোটরযানে এলপিজি সরবরাহ না করার জন্য শর্ত আরোপ করা হয়। ওই শর্ত অমান্য করে প্রাঙ্গণে স্থাপিত গ্যাসাধারে গত ৩১ অক্টোবরের এলপিজি মজুদসহ মোটরযানে এলপিজি ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে। পরে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত ৮টা ৪০মিনিটে গ্যাসধারের পাম্প ও মোটরের সংযোগ স্থলের অয়েল সেল ফেটে গ্যাস বিস্ফোরণ হয় এবং এলাকায় জনগণের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
রংপুর সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক অশোক কুমার দাস জানান, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রাথমিক নকশা অনুমোদনপত্রে উল্লেখিত শর্ত ভঙ্গ ও লাইসেন্স গ্রহণ না করেই গ্যাসাধারে এলপিজি মজুদসহ মোটরযানে এলপিজি সরবরাহের কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সায়েকুল হাসান খান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিকের উপস্থিতিতে অটোগ্যাস স্টেশনের সব কার্যক্রম স্থগিতের জন্য সীলগালা করা হয়েছে।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সায়েকুল হাসান খান বলেন, ‘শর্ত ভঙ্গ ও লাইসেন্স গ্রহণ না করেই গ্যাসাধারে এলপিজি মজুদসহ মোটরযানে এলপিজি সরবরাহের কারণে অটোগ্যাস স্টেশনের সব কার্যক্রম স্থগিতের জন্য সীলগালা করা হয়।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে মেসার্স বয়েজ উদ্দিন অটোগ্যাস অ্যান্ড ফিলিং স্টেশন নামে পাম্পাটির লাইনে হঠাৎ ছিদ্র ধরা পড়ে। সারারাত ধরে বের হয় গ্যাস। এতে আশপাশে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্যাস নির্গমন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় ফায়ার সার্ভিসের একটি দল। কিন্তু গ্যাস নির্গমন তীব্র হওয়ায় নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। পরে শনিবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের নলটি ফের ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। পানি ব্যবহার করে পাম্পের অবশিষ্ট গ্যাস বের করে দেওয়ার সময় আক্রান্ত হন ফায়ার সার্ভিসের তিন সদস্য। তারা হলেন ইউনুছ আলী, সাইফুল ইসলাম ও মোশারফ হোসেন। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
কেকে/এমএ