খেলাফত মজলিসের প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য ভাষা সৈনিক অধ্যক্ষ মাসউদ খান বলেছেন, আগামী নির্বাচনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে শান্তিপূর্ণ ব্যালট বিপ্লব ঘটাতে হবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ন্যায়বিচার, ইনসাফ ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার ওপর। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের সাহসী তরুণরা আমাদের পথ দেখিয়েছেন। তরুণদের রক্তের পথ ধরে সুশাসন ও ইনসাফ কায়েমের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজারে খেলাফত মজলিসের জেলা কার্যালয়ে জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ‘উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ফখরুল ইসলাম নোমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মুহিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জোনাল ইনচার্জ অধ্যক্ষ মওলানা শামসুজ্জামান চৌধুরী, আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আব্দুস সবুর, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা জোন পরিচালক, মৌলভীবাজার-৩ আসনের (সদর-রাজনগর) সংসদ পদপ্রার্থী প্রিন্সিপাল মাওলানা আহমদ বিলাল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস জেলা শাখার সভাপতি সালমান হোসাইন, শহর শাখার সভাপতি ফখরুল ইসলাম ফয়সল।
বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে ঐক্যের বিকল্প নেই। বিগত ৫৪ বছরে ক্ষমতায় থাকা যেকোনো দলই দুর্নীতি করেছে। ফ্যাসিস্ট শাসনের সময়ে দেশে একদলীয় লুটপাট, খুন-গুম ও অপকর্মের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল। কাজেই সুশাসন ও ইনসাফ কায়েমের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী নির্বাচনে খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থীদের দেওয়াল ঘড়ি প্রতিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে।
ভোটকে পবিত্র আমানত হিসেবে উল্লেখ করে তারা বলেন, অর্থ ও পেশিশক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নয়, বিবেকের সঙ্গে ভোট দিতে হবে। সৎ নেতৃত্ব ও ইসলামী অনুশাসন ছাড়া মানবতার প্রকৃত মুক্তি সম্ভব নয়। দেশে সব দলের শাসন মানুষ দেখেছে, এবার ইসলামপন্থীদের শাসন দেখার পালা।
কেকে/ আরআই