সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শ্রেণি শিক্ষকের পিটুনির জেরে মাশকুরা খাতুন নামের এক স্কুল ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের কন্যা মাশকুরা পাশর্বর্তী নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী।
বুধবার দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ঘটনাটি ঘটার পরপরই শিক্ষকরা তাকে পৌর সদরের ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জানা যায়, শ্রেণিকক্ষের ফ্যান ছাড়ার অভিযোগে শিক্ষক নাজমুল হোসেনের পিটুনিতে আহত হয় সে। শিক্ষকের এলোপাতাড়ি মারপিটের সময় পাঠদান কক্ষের জানালার গ্রিলের সাথে মাথায় ধাক্কা লাগলে মাশকুরা সঙ্গাহীন হয়ে পড়ে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাশকুরার কয়েক সহপাঠী জানায়, পাঠদান চলাকালে শ্রেণিকক্ষের ফ্যান বন্ধ ছিল। এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থীর অনুরোধে মাশকুরা ফ্যানের সুইচ ‘অন’ করলে শ্রেণী শিক্ষক নাজমুল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর শুরু করে।
শিক্ষাথীরা আরও জানায়, শুরুতে স্টিলের স্কেল দিয়ে হাতে পিটুনি দিলেও একপর্যায়ে তিনি হাত দিয়ে এলাপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এসময় শিক্ষকের উপুর্যপোরী আঘাতে মাশকুরা পাশের জানালার গ্রিলের সাথে মাথায় ধাক্কা লাগায় সঙ্গাহীন হয়ে পড়ে।
ঘটনার শিকার শিক্ষার্থী মাশকুরা জানান, বোরকা পরিহিত কয়েক ছাত্রী তাকে ফ্যান ছাড়ার জন্য অনুরোধ করেন। এসময় আকস্মিকভাবে নাজমুল হোসেন পাঠদান বন্ধ রেখে পাশে এসে তাকে মারতে শুরু করে।
ঘটনার শিকার ছাত্রীর পিতা মিজানুর রহমানের দাবি ‘শিক্ষকের মারপিটে মাশকুরা আহত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে একই শিক্ষক তার যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় বহনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মাথায় রক্ত জমাট বাঁধলেও দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমুল হোসেন জানান, শাসনের জন্য তিনি মারতে উদ্যত হয়েছিলেন। তবে মাশকুরা ভয়ে মাথা সরিয়ে নেয়ার কারনে গ্রিলের সাথে ধাক্কা লেগে আহত হয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক শামিম হোসেনের ভাষ্য ‘বিষয়টি নিয়ে ছাত্রীর পিতার সাথে শিক্ষকের মধ্যে একটা সমঝোতা হয়েছে।’
কেকে/ আরআই