শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫,
১৭ কার্তিক ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম: জুলাই সনদের প্রয়োজন নেই : মেজর হাফিজ      নির্বাচন পর্যন্ত কর্মকর্তাদের বিদেশে না যাওয়ার নির্দেশ সরকারের      জাটকা শিকারে আজ থেকে আট মাসের নিষেধাজ্ঞা      টানা পাঁচ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস      শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মেলিসায় লণ্ডভণ্ড জ্যামাইকা      বিএনপির ওপর দোষ দিতে মরিয়া জামায়াত       বিএনপিতে আবার সক্রিয় হচ্ছে পুরোনো সিন্ডিকেট      
দেশজুড়ে
আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মামলার শিকার ইউপি সদস্য
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ৪:৪৭ পিএম আপডেট: ০১.১১.২০২৫ ৪:৫৫ পিএম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়ন  পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. লেবু মিয়া অভিযোগ করেছেন, আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তিনি চাঁদাবাজি, জমি দখল, চুরি ও অপহরণসহ তিনটি মামলার আসামি হয়েছেন।

তার দাবি, আদালতের রায়ের একটি আদেশ বাস্তবায়নের কারণেই এসব মামলার শিকার হয়েছেন তিনি। একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও বাকি মামলাগুলোতে নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে বলে জানান লেবু মিয়া।

মামলার সূত্র ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বড়বিল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া শরীফ এলাকার বাসিন্দা এ এস এম ওবায়দুল্লাহ মনিরাম এলাকার আবুল কাশেমের কাছ থেকে পাকুড়িয়া মৌজার ৯৬ শতক জমি ক্রয় করে দীর্ঘদিন ভোগদখল করছিলেন। ওবায়দুল্লাহ মারা গেলে তার সন্তানরা ওই জমি ভোগদখল করে আসছিলেন।

গত ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আবুল কাশেম চৌধুরী তার লোকজন নিয়ে মৃত ওবায়দুল্লাহর ক্রয়কৃত ৯৬ শতক জমির ধান কেটে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় ধানের মালিক ওবায়দুল্লাহর ছেলেরা গঙ্গাচড়া থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ কাশেমের বাড়ি থেকে ধানগুলো উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য লেবু মিয়ার জিম্মায় রাখে। দু’মাস পর আদালতের আদেশে প্রকৃত মালিকদের হাতে ওই ধান ওয়ার্ড সদস্যের বাড়ি থেকে পুলিশের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে আবুল কাশেম ওয়ার্ড সদস্য লেবু মিয়াসহ ১০ জনের নামে একে একে তিনটি মিথ্যা মামলা করেন। এসব মামলার একটি থেকে লেবু মিয়া অব্যাহতি পেলেও এখনো দুটি মামলা তার নামে চলমান।

সম্প্রতি সরেজমিনে গেলে মামলার ১ নম্বর সাক্ষী মতলুবর রহমান বলেন, “আসলে আমি এই মামলাগুলোর কিছুই জানি না। লেবু মেম্বার খুব ভালো মানুষ। তিনি প্রায় তিন বছর ধরে অসুস্থ এবং পা ভেঙে বাড়িতে শয্যাশায়ী আছেন।”

২ নম্বর সাক্ষী রুহুল আমিন বলেন, “সত্যি বলতে আজকেই জানতে পারলাম আমি আবুল কাশেমের মামলার সাক্ষী! মানুষটা মনে হয় পাগল হয়ে গেছে। এগুলোর কি দরকার ছিল? আমাদের নাম ব্যবহার করে সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। ঘটনা তো সত্য নয়, আর লেবু মেম্বার অনেক দিন ধরেই অসুস্থ। আমার অনুরোধ, যেন এই বিষয়গুলো আর না বাড়ে।”

এ বিষয়ে মামলার বাদী আবুল কাশেমের সঙ্গে সাক্ষীদের মুখোমুখি করা হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

মামলার আসামি ওয়ার্ড সদস্য মো. লেবু মিয়া বলেন, “আমার যদি আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করা ভুল হয়ে থাকে, তাহলে আমি আদালতের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করব—আমাকে শাস্তি দিন, কিন্তু আমি অসুস্থ এই মানুষটাকে যেন আর কষ্ট না দেন। আমি এই মিথ্যা মামলার ঘানি প্রায় দুই বছর ধরে টানছি।”

গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল এমরান বলেন, “এগুলো মামলা থানায় হয়নি। যদি তদন্তের জন্য আদালত থেকে আমাদের কাছে আদেশ আসে, তাহলে আমরা সঠিকভাবে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন পাঠাব।”

কেকে/ আরআই
আরও সংবাদ   বিষয়:  আদালত   মামলা   ইউপি সদস্য  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

বর্তমান সরকার শিক্ষাকে দলীয় প্রভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে : মুজাহিদ মল্লিক
২০ দিনেও সন্ধান মেলেনি পাঁচ নিখোঁজের, জীবননগরে স্বজনদের বিক্ষোভ
রিটার্নিং কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ স্থগিত করতে পারবেন : ইসি আনোয়ারুল
রায়পুরায় দুই ভাইকে কুপিয়ে খুন
মায়াবতীর ভোজন

সর্বাধিক পঠিত

কক্সবাজারে ফরেস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত
আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মামলার শিকার ইউপি সদস্য
শ্রীমঙ্গলে ট্রেন আটকে অবরোধ
যারা রাজনীতিতে ধর্মকে ব্যবহার করতে চায় তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে
সালথায় দুর্ধর্ষ চোর ইমদাদ কাজী গ্রেফতার

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close