পাবনা জেলার ঈশ্বরদী ও ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে হয়ে চলাচলকারী সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন থেকে ট্রেন প্রতাহারের প্রতিবাদ ও নিরাপদ ট্রেন যাত্রা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে সুহৃদ নামে একটি সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা নিরাপদ ট্রেন ভ্রমণের দাবিও উত্থাপন করেন।
সুহৃদ ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি রেজাউল করিম বাবুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপির নেতা মাহাবুবুর রহমান পলাশ, ঈশ্বরদী প্রেস ক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন, ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন জনি, কমিউনিস্ট পার্টি পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তাসমিম মাহবুব প্রাপ্তি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন একটি ব্যস্ততম স্টেশন। প্রতিদিন শত শত যাত্রী এ স্টেশন হয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। অথচ গত কয়েক বছরে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন হয়ে চলাচলকারী ১৫টি ট্রেন প্রত্যাহার করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ স্টেশনকে অচল করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছে রেলের কিছু কর্মকর্তা।’
তারা আরও বলে, ‘ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন হয়ে ১৩ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করলেও বনলতা এক্সপ্রেস, বুড়িমারী এক্সপ্রেস, দ্রতযান এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, সহ অধিকাংশ ট্রেনের যাত্রাবিরতি নেই। ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন হয়ে চলাচলকারী সকল ট্রেনের এ স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিতে হবে।’
‘এছাড়াও মধুমতি ও সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনে এসি চেয়ার কোচ সংযোজন করতে হবে। ঈশ্বরদী জংশন হয়ে চলাচলকারী সব ট্রেনের ঈশ্বরদীর জন্য আসন বাড়াতে হবে। এছাড়াও ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের ফুটওভার ব্রিজে চলন্ত সিড়ি অথবা লিফটের ব্যবস্থা করতে হবে।’
এ বিষয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা হাসিনা খাতুন বলেন, ‘মানববন্ধন ও সমাবেশের বিষয়টি শুনেছি। আমাদের কাছে কোন লিখিত স্মারকলিপি বা কাগজপত্র দেয়নি। এ বিষয়ে রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবেন।’
কেকে/এমএ