চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে গ্রামের তৃণমুলে শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত গ্রাম পুলিশের এক সদস্য উদ্ধার করেছেন একটি একনলা বন্দুক।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের পাটিয়ালছড়ি গ্রামের একটি বসতঘর থেকে বন্দুকটি উদ্ধার করা হয়। পরে সেদিন সন্ধ্যায় এটি ভুজপুর থানায় হস্তান্তর করা হলেও পুলিশ এখনো কোনো মামলা দেন নি।
এদিকে, গ্রাম পুলিশের এমন দু:সাহসিক কাজে পুরো এলাকাজুড়ে প্রশংসায় ভাসছেন বন্দুক উদ্ধারকারী গ্রাম পুলিশ আবুল বশর। তিনি ওই গ্রামের নতুন টিলা পাড়া এলাকার মো. বদন চৌকিদারের ছেলে। দীর্ঘদিন থেকে তিনি এলাকায় নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করে প্রশাংসা কুঁড়িয়েছেন।
আবুল বশর বলেন, ‘ওই এলাকার মো. রমজান আলীর স্ত্রী উর্মী আকতার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে সংসারের বিভেদ-বিরোধ নিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান স্বামী রমজান বরাবরে নোটিশ দেন। একাধিক নোটিশে তিনি পরিষদে হাজির না হওয়ায় চৌকিদার বশরকে স্ব-শরীরে ডাকতে পাঠান। বশর তার বাড়িতে পৌঁছালে অভিযুক্ত রমজান কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে তার বসতঘর তল্লাশি করে পরিত্যক্ত বন্দুকটি উদ্ধার করে পরিষদে এনে চেয়ারম্যানকে জমা দেন।’
হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘অসৎ প্রকৃতির ওই স্বামীকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বার বার তাগাদা দিয়েও পরিষদে আনা সম্ভব হয়নি। পরে গ্রামপুলিশ বশর বাড়িতে গিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হলো তিনি আসলেই অপরাধী। ইতোমধ্যে আমরা ওই বন্দুক উদ্ধারের পর থানা পুলিশকে হস্তান্তর করেছি। এই বন্দুক উদ্ধারের মধ্যদিয়ে তার বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’
গ্রামপুলিশ আবুল বশরের এমন ভুমিকার প্রশংসা করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের দাবী, যেখানে শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ এমন ভুমিকা রাখার কথা; সেখানে গ্রামপুলিশের এই দু:সাহসিক কাজ খুবই প্রশংসিত ও আশান্বিত।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আবুল বশর চৌকিদার আমাদের দৃষ্টান্ত। এলাকার শৃংখলা রক্ষায় তার চিরচেনা রূপ আমাদের আশার আলো দেখায়। তিনি আমাদের অপার দৃস্টান্ত।’
ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুল হক বলেন, ‘এটি আসলে পরিত্যক্ত একনলা বন্দুক। অনেকটা বস্তু সদৃশ। তারপরও আমরা জিডি মূলে থানায় জব্দ দেখিয়েছি। কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেবো।’
কেকে/ আরআই