গাজা থেকে এই সপ্তাহে হামাস যে তিনজনের মরদহে রেড ক্রসের মাধ্যমে হস্তান্তর করেছে, তা কোনও জিম্মির দেহ নয় বলে শনিবার (১ নভেম্বর) নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এটি নতুন এক ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার ইসরায়েল ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ গাজায় ফেরত দেয়। এর মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে চলমান মরদেহ বিনিময় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। সপ্তাহের শুরুতে হামাস দুই জিম্মির দেহ ফেরত দিয়েছিল, যা যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছিল।
ইসরায়েল জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে ফেরত পাওয়া তিনটি মরদেহ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এগুলোর কোনোটি গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলার সময় অপহৃত জিম্মিদের নয়। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
হামাসের সামরিক শাখা জানায়, তারা ইসরায়েলের অনুরোধে অজ্ঞাত কয়েকটি দেহের নমুনা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু ইসরায়েল তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। পরে ‘ইসরায়েলের মিথ্যা দাবি বন্ধ করতে’ তারা দেহগুলো হস্তান্তর করে বলে জানায় হামাস।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর যুদ্ধবিরতির পর এখন পর্যন্ত হামাস ১৭ জিম্মির মরদেহ ফেরত দিয়েছে। তবে চুক্তি অনুযায়ী বাকি ১১ জনের মরদেহ ফেরত প্রক্রিয়া খুব ধীর গতিতে চলছে প্রতি কয়েক দিনে এক বা দুইজনের দেহই ফেরত আসছে।
অন্যদিকে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল মোট ২২৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এর মধ্যে ৭৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তবে এসব মৃতদেহ ইসরায়েলে নিহতদের, নাকি হেফাজতে মৃত্যুবরণকারীদের, তা নিশ্চিত নয়।
এদিকে, এই সপ্তাহের শুরুতে রাফাহ শহরে এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ব্যাপক হামলা চালায়। এতে ১০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। এই ঘটনার পর থেকেই যুদ্ধবিরতি নতুন করে অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
কেকে/ আরআই