ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের প্রতিবাদে ও বৈধ দোকান উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি। ধর্মঘটের ফলে শহরের প্রায় সব ওষুধের দোকান বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও সাধারণ মানুষ।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়।
জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ মার্কেটের বরাদ্দকৃত বৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনাগুলোকে সম্প্রতি অবৈধ ঘোষণা করে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং নিজেদের বৈধ দোকানগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিতের দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেয় কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।
ধর্মঘটের কারণে শহরের সহস্রাধিক ওষুধের দোকান বন্ধ রয়েছে। ফলে, রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজন চিকিৎসা শেষে প্রেসক্রিপশনে দেওয়া ওষুধ কিনতে পারছেন না। অনেককে শহরের বাইরে থেকে জরুরি ওষুধ সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এতে জরুরি চিকিৎসাসেবাও ব্যাহত হচ্ছে।
ধর্মঘটের কারণে শহরের ফার্মেসি নির্ভর চিকিৎসাসেবা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ দ্রুত এ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান চান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি পৌর শাখার সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, “১৯৮৩ সাল থেকে মহিলা কলেজ মার্কেটে ১৪টি দোকান বৈধভাবে ভাড়া নিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করছি। নিয়মিত ভাড়াও দিচ্ছি। অথচ সম্প্রতি আমাদের বৈধ দোকানগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে জোরপূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা করা হচ্ছে, যা অমানবিক ও অবৈধ।”
তিনি আরও বলেন, “দোকান স্থানান্তরের জন্য আমরা ছয় মাস সময় চেয়েছিলাম, কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি। এ অবস্থায় উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ন্যায্য সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ধর্মঘট চলবে।”
বলে রাখা ভাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে নতুন গেট নির্মাণের দাবিতে কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন।
কেকে/ এমএ