নারায়ণগঞ্জে প্রকাশ্যে আদালত প্রাঙ্গণে এক বিচারপ্রার্থীকে বেদম মারধর করেছে কয়েকজন আইনজীবী। হামলার শিকার ব্যবসায়ী ইরফান মিয়ার দাবি, হামলাকারীরা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের লোকজন। এসময় ইরফান মিয়াকে বাঁচাতে এসে তার পরিবারের আরও তিন সদস্য আহত হন।
বোরবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
নগরীর কালির বাজার এলাকার সেনেটারী ব্যবসায়ী ইরফান মিয়া জানান, ইসমাইল নামের এক ব্যক্তির কাছে তিনি ২৫ লাখ টাকা পান। টাকা আদায়ের জন্য তিনি আদালতে মামলা করেছেন। মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী মহানগর বিএনপি'র আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন। আজ বেলা ১১ টায় তিনি আদালতে ঢোকার সময় অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন তাকে জোর করে আদালত কক্ষ থেকে বের করে দেয়। এরপর তাকে এক মিনিটের মধ্যে আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার নির্দেশ দেয় সাখাওয়াত হোসেন। তার নির্দেশমতো আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ না করায় সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে তার কয়েকজন জুনিয়র আইনজীবী ও আসামি পক্ষের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। ১৫-২০ জন মিলে তাদেরকে মারধর করেন। ফলে তিনিসহ তার পরিবারের মোট ৪ সদস্য গুরুতর আহত হন। তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানাকে হামলাকারিরা চুলের মুঠি ধরে ঘুষি দেয় এবং পরনের পোশাক ছিঁড়ে ফেলে। তার ৫ বছরের ছেলে আব্দুল্লাহকে মাটিতে ফেলে বেশ কয়েকটি লাথি দেয়। হামলায় ইরফান মিয়ার বড় ছেলে জাতীয় বক্সার জিদানও আহত হন।
তিনি আরও জানান, তারা ইচ্ছে করে আমার গোপনাঙ্গে লাথি মারতে থাকে। এছাড়া মাথার পেছনে আঘাত করতে থাকে।
আহতরা সবাই নগরীর খানপুরে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ ৩শ' শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন জানান, ইরফান ও তার পরিবারের কাউকে আমি চিনি না। ঘটনার সময় আমি কোর্ট প্রাঙ্গণে ছিলাম না। বারের নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
কেকে/ আরআই