ময়মনসিংহের ভালুকায় শত বছরের বসবাসরত নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ‘বাসস্থান’ এর স্বত্ত্ব প্রতিষ্ঠা, বনায়নের প্রাপ্ত অর্থ সুষমভাবে বন্টন করা ও হয়রানিমূলক মামলা দ্রুত প্রত্যাহারসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার উথুরা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে ওই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন ‘বন বিভাগের হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি ও সর্বস্তরের ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণ’।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় হতে জানা যায়, ময়মনসিংহ বন বিভাগের উথুরা রেঞ্জ অধিনস্থ উপজেলার বিভিন্ন বন বিটের এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বন বিভাগের বিরুদ্ধে হয়রানি ও উচ্ছেদের অভিযোগ উঠলেও সম্প্রতি বন বিভাগের অভিযানে অসহায় মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় এলাকা বাসি ওই প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা ৪ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দফাগুলো হলো, স্থানীয় বনবিভাগ কতৃক হয়রানিমূলক মামলা দ্রুত প্রত্যাহার ও জুলুম বন্ধ করা, বসবাসরত মানুষের জমি ও বসতভিটার অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবৈধ গেজেট বাতিল করা, বসতভিটায় নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণে বাধা ও উচ্ছেদ বন্ধ করা, স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক বনায়ন ও সুফল এর প্রাপ্ত অর্থ সুষমভাবে বন্টন করা।
বন বিভাগের হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক ও প্রতিবাদ সভার সভাপতি এডভোকেট শাহ মো. লিমন বলেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষের জমি ও জীবিকার অধিকার রক্ষার জন্য আমরা লড়াই করছি। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকদের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কিন্তু স্থানীয় বন বিভাগ সে দায়িত্ব পালনের বদলে উল্টো হয়রানি করছে।’
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, বছরের পর বছর ধরে সরকারি বনভূমির নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। এতে মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়ছে।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উথুরা রেঞ্জ কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কেউ বনভূমি জবরদখল করলে তা উচ্ছেদ করা হয় এবং জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা হয়। আমি সরকারি সম্পদ রক্ষায় কাজ করছি, জবরদখলকারীরা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলবেই এতে কিছু আসে যায় না।’
কেকে/বি