মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫,
১২ কার্তিক ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: প্রার্থী বাছাইয়ে কৌশলী বিএনপি      অর্থনীতিতে গতি ফেরানোয় চ্যালেঞ্জ      বড় নাশকতার পাঁয়তারা      হার দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু বাংলাদেশের      দেশের বাজারে আবারও কমলো স্বর্ণের দাম      ঐকমত্য কমিশনের শেষ বৈঠক, মঙ্গলবার সুপারিশ পেশ      মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় মোন্থা      
খোলাকাগজ স্পেশাল
নিরপক্ষেতাই বড় চ্যালেঞ্জ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:১৬ এএম আপডেট: ২৩.১০.২০২৫ ১২:৩২ পিএম
ছবি : খোলা কাগজ

ছবি : খোলা কাগজ

নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ততই চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। বিশেষ করে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে বারবারই প্রশ্ন উঠছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এ ছাড়া দলটির পক্ষ থেকে দুই উপদেষ্টা সম্পর্কেও আপত্তি জানানো হয়েছে। 

অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কয়েকজন উপদেষ্টার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। এদিকে সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামও। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তবে তাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর অন্যতম হচ্ছে নিরপেক্ষতা। গত এক বছরের সরকারের যেমন সাফল্য আছে, তেমনি কয়েকজন উপদেষ্টার কর্মকাণ্ডে সরকার কিছুটা বিতর্কিত হয়েছে। তাতে চ্যালেঞ্জ পড়েছে সরকারের নিরপেক্ষতা। এ প্রেক্ষাপটেই আসলে বিএনপির পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথাটি তোলা হয়েছে। একটু সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতেই তাই সরকারকে নিজের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা খুব জরুরি। 

এদিকে নিরপেক্ষতার স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারকে অতিসত্বর ‘কেয়ারটেকার’ আদলে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘কেয়ারটেকার সরকারের জায়গা অবতীর্ণ হওয়ার অর্থ, পুরোপুরি নিরপেক্ষ অবস্থানে যাওয়ার কথা বলছি।’ 

বিএনপি স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে-বাইরে যাদের নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করার সুযোগ আছে, তাদের রেখে নিরপেক্ষতা রক্ষা করা যাবে না। আমরা লক্ষ করেছি, অনেক পদায়ন-বদলি ও অনেক বিষয়ে সরকারের অবস্থান কিছু কিছু লোক এগুলোকে প্রভাবিত করছে। সেজন্য আমরা বলেছি, অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা যেসব উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, নির্বাচনের আগে তাদের সরকার থেকে চলে যেতে।’ 

এদিকে গতকাল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে কয়েকজন উপদেষ্টাকে নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে কাদের নিয়ে এই আপত্তি, তাদের নাম প্রকাশ করেনি দলটি।

জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা উপদেষ্টা তাদের ব্যাপারে বলেছি, সবার ব্যাপারে নয়। আমরা বলেছি, কিছু কিছু লোক আপনাকে (প্রধান উপদেষ্টাকে) বিভ্রান্ত করে। আপনার প্রতি আমাদের আস্থা আছে। কিন্তু আপনার কিছু লোক আপনার পাশে আপনাকে বিভ্রান্ত করে এবং ওরা কোনো একটা দলের পক্ষে কাজ করে আমরা মনে করি। তাদের ব্যাপারে আপনাকে হুঁশিয়ার থাকা দরকার।’ 

গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে এনসিপিও। বৈঠক শেষে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বড় রাজনৈতিক দলগুলো জেলা প্রশাসক-পুলিশ সুপারের মতো পদ ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জেনেছি বিভিন্ন দল প্রশাসনে ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছে। বড় দলগুলো এসপি-ডিসি পদ ভাগবাটোয়ারা করছে। এভাবে চলতে থাকলে সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হবে। সরকার যাতে নিরপেক্ষভাবে চলে এবং উপদেষ্টা পরিষদের যাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তাদের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।’
 
গত মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরপেক্ষ ‘তত্ত্বাবধায়ক’ সরকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি। সেইসঙ্গে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা ‘দল-ঘনিষ্ঠদের’ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলেছে দলটি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ কথা বলে।

সরকার ও বিএনপির সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এ সাক্ষাতে ওই দুটি বিষয় ছাড়াও বিচার বিভাগ, সচিবালয়ে এবং প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে রদবদলসহ আরো কিছু বিষয়ে বিএনপির নেতারা প্রধান উপদেষ্টাকে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে এসেছিলাম কতগুলো রাজনৈতিক কনসার্ন (উদ্বেগ) নিয়ে কথা বলার জন্য। বিশেষ করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই জাতীয় সংসদ অনুষ্ঠানকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য এ মুহূর্ত থেকে যেটা প্রয়োজন, তা হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এখন কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের আদলে নিতে হবে।’ 

এর ব্যাখ্যা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, প্রথমেই যে বিষয়টির প্রয়োজন হবে, তা হচ্ছে প্রশাসনকে জনগণের কাছে পুরোপুরিভাবে নিরপেক্ষ করে তৈরি করতে হবে। সচিবালয়ে যারা এখনো আছেন, যাদের চিহ্নিত ফ্যাসিস্টদের দোসর বলা হয়, তাদের সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ কর্মকর্তা দেওয়ার জন্য বিএনপি বলেছে। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বলেছি যে জেলা প্রশাসন, বিশেষ করে সেখানেও একইভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমরা কিছু কিছু কথা বলে এসেছি, যেগুলো আমরা মনে করি যে তারা এখনো সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের স্বার্থ পূরণ করছে। সে জন্য তাদের অপসারণের কথা আমরা বলেছি। আমরা পুলিশের নিয়োগের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যেসব পদে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হবে বা যাদের পদোন্নতি দেওয়া হবে, সে ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে এসেছি।’

কেকে / এমএস
আরও সংবাদ   বিষয়:  নিরপক্ষেতা   চ্যালেঞ্জ   নির্বাচন   রাজনৈতিক দল  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ব্যানার টানানো বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, যুবদলকর্মী নিহত
যেখানে উন্নয়নের গল্পে ঝরে পড়ে মানুষের জীবন
ফরিদপুরে শ্রীশ্রী কাত্যায়নী পূজা শুরু
প্রার্থী বাছাইয়ে কৌশলী বিএনপি
যুবনেতৃত্বাধীন পরিবেশবান্ধব এডভোকেসি ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

সর্বাধিক পঠিত

বাঞ্ছারামপুরে স্কুল কমিটির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ, বিতর্কে প্রধান শিক্ষক ছিদ্দিকুর
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনের দাবিতে লোহাগাড়ায় গণসংযোগ
বাঘায় চর দখলকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, প্রাণ গেল ‍দুইজনের
গৌরনদীতে ডেঙ্গুতে গৃহবধূর মৃত্যু, নার্সদের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও সুপ্রিম সিড কোম্পানির চুক্তি
সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close