তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মশাল প্রজ্জ্বলন করে এবং তিস্তা বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও স্লোগানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বর থেকে শুরু করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভিক্টরিয়া পার্ক সংলগ্ন বিশ্বজিৎ চত্ত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে মশাল মিছিলে শেষ হয়।
লালমনিরহাট জেলা ছাত্রকল্যাণ সভাপতি আজিজুর হাকিম আকাশ বলেন, 'নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণার পূর্বেই নভেম্বরের মধ্যেই তিস্তা পরিকল্পনার দৃশ্যমান কাজ দেখতে চাই। যদি এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা না হয় শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নয় সম্পূর্ণ ঢাকা শহর অচল করে দিবে শিক্ষার্থীরা।'
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহাদত হোসেন স্বপন বলেন, 'আমি বাংলাদেশের সবচেয়ে বৈষম্যে জর্জরিত বিভাগের মানুষ। আমি সেই কৃষক বাবার সন্তান যার ফসল ৬ মাসই পানির নিচে থাকে। আমি সেই মায়ের সন্তান যে বন্যার সময় সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে পারে না। আমাদের বলা হয় মঙ্গাপীড়িত জেলার মানুষ। কিন্তু আমরা মঙ্গাপীড়িত নই আমাদের উপর মঙ্গা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।'
রংপুর ছাত্রকল্যাণের সোহাগ আহমেদ বলেন, 'ভারত থেকে বহমান তিস্তা নদী বাংলাদেশের ৮টি জেলায় প্রবাহিত। ভারতের আগ্রাসনের ফলে আমাদের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো অর্ধেক সময় পানির নিচে থাকে। আমরা এই ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দিতে চাই।'
ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুল আরিফিন বলেন, 'আমি তিস্তাপাড়ের সন্তান। আমি বুঝি তিস্তাপাড়ের মানুষের দুঃখ। আমরা ঘুমাতে যাই শুকনা ঘরে সকালে দেখি পানির ভেতর। আমরা ভারতীয় এই ফ্যাসিবাদকে রুখে দিতে চাই। আমরা চাই ভারতের সাথে সম্পর্ক হোক ন্যায্যতার ভিত্তিতে। আপনারা যদি তিস্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে না পারেন তাহলে আমাদের গুলি করে মেরে ফেলুন। আমাদের এই দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য সংগঠনকে।'
কেকে/এআর