এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় সিলেট বোর্ডে চারটি কলেজে কেউ পাস করতে পারেনি। আর শতভাগ পাস করেছে তিনটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল হয়েছে মানবিক বিভাগে। এ বিভাগে পাসের হার ৪৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ফেল করেছে ইংরেজি বিষয়ে। ইংরেজিতে এবার ৩৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছে।
এ বছর সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৩২৩টি কলেজের মধ্যে মধ্যে ৩টি কলেজ শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করেছে। আর কেউ উত্তীর্ণ হতে পারেননি চারটি প্রতিষ্ঠানে। শতভাগ ফেল করা চারটি কলেজ হচ্ছে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার জমিরুন নেছা একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গোয়াইনঘাটের জাফলং হানিফা খাতুন মেমোরিয়াল কলেজ, মৌলভীবাজারের রাউৎগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এবং হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সৈয়দ সঈদ উদ্দীন হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে অনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
এ সময় তিনি বলেন, ‘ইংরেজিসহ কয়েকটি বিষয়ে খারাপ ফলের কারণে সামগ্রিক ফলাফল খারাপ হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা ইংরেজিতে দুর্বল। তাছাড়া কলেজগুলোতেও ভালো মানের ইংরেজি শিক্ষক নেই। ফলে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীই ইংরেজিতে ফেল করেছে।’ এছাড়া কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কম থাকার প্রভাবও ফলাফলে পড়েছে বলে মনে করেন তিনি।
ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এবার সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত বছর থেকে এবার পাসের হার কমেছে ৩৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ। সিলেট বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ কমেছে ৫ হাজার ৯৬টি। গত বছর জিপিএ-৫ ছিল ৬ হাজার ৬৯৮টি। এবার কমে দাড়িয়েছে ১ হাজার ৬০২টিতে।
এবার মেয়েরা ২২ হাজার ১ জন এবং ১৩ হাজার ৮৭০ পাস করেছে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ৮ হাজার ১৩১ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকেও মেয়েরা ৯২১ জন এবং ছেলেরা ৬৮১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। মেয়েরা ২৪০টি জিপিএ-৫ বেশি অর্জন করেছে।
এবার বিজ্ঞান বিভাগে ১২ হাজার ৮৯৩ জন পরিক্ষা দিয়ে পাস করে ৯ হাজার ৭৯২ করে। আর ফেল করেছে ৩ হাজার ১০১ জন। মানবিকে ৪৭ হাজার ১৪৮ জনের মধ্যে পাস করেছে ২১ হাজার ৪৯৭ জন। মানবিকে সর্বাধিক ফেল করেছে ২৫ হাজার ৬৫১ জন। ব্যবসা শিক্ষায় ৯ হাজার ১৩১ জন পরিক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪ হাজার ৫৮২ জন। আর প্রায় অর্ধেক সংখ্যক ৪ হাজার ৫৪৯ জন ফেল করে।
শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, পাঁচ বছর পর এবারই পুর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে। তাছাড়া ইংরেজীতে ৩৫.৪৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করায় ফল বিপর্যয় হয়েছে। এ ছাড়া ক্লাসে অনুপস্থিতি ও দক্ষ শিক্ষকের অভাব ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে।
কেকে/এজে