কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চার দাবিতে রাজবাড়ীর চারটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন। এর ফলে চলমান ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত হয়ে শিক্ষার্থী–অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ও দুশ্চিন্তার সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালেও পরীক্ষা শুরুর আগে শিক্ষকরা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকলেও পরীক্ষা নেননি।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ—বিনা নোটিশে পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় তাদের প্রস্তুতি ব্যাহত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী রাত ২টায় এসএমএস পেলেও অনেকে কোনো বার্তাই পাননি।
শিক্ষার্থীরা জানায়, হঠাৎ পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় তারা মানসিক চাপে পড়ছে। সামনে বৃত্তি পরীক্ষা—কিন্তু প্রস্তুতির সময় কমে যাওয়ার সঙ্গে স্থগিত পরীক্ষা তাদের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করেছে।
অভিভাবকরা বলছেন, ‘বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার সময় কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলছে।’
দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে পরীক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান তারা।
অন্যদিকে শিক্ষকরা দাবি করছেন, দীর্ঘদিন আন্দোলন চললেও কর্তৃপক্ষ তাদের বৈধ দাবি না মানায় কর্মবিরতি ছাড়া উপায় ছিল না।
তারা জানান, নিযুক্তির সময় যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছিল, তা কমানো আইনগতভাবেও গ্রহণযোগ্য নয়। তবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পেলেই তারা পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত।
রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন হাই স্কুল ও শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই কর্মবিরতি চলছে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা করছে, কেন্দ্রের নির্দেশনা এলে দ্রুত পরীক্ষা নেওয়া শুরু করা যাবে এবং স্থগিত পরীক্ষাগুলো পরবর্তী সুবিধাজনক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
কেকে/এমএ