সাভারের হেমায়েতপুরে অভিযান চালিয়ে ১৬৫ কেজি ওজনের একটি কালো রঙের কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তিসহ মো. দেলোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা মূল্যের এই মূর্তিটি বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে সাভারে এনে রেখেছিলেন। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সাভার মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনুর কবীর এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকালে হেমায়েতপুর বাসষ্ট্যান্ডের একেএইচ টাওয়ারের বিপরীত পাশে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ফুটওভার ব্রীজের নীচে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. দেলোয়ার হোসেন (৬১) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার গোয়ালমারী এলাকার মৃত. আবুল হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি রাজধানী ঢাকার দারুস সালাম থানার মিরপুর-১ খালেক পাম্প সংলগ্ন দারুস সালাম টাওয়ারে বসবাস করে আসছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনুর কবির জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকালে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে কষ্টি পাথরের একটি বিষ্ণু মূর্তিসহ দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। একটি ওয়ালটন ফ্রিজের পূরাতন কার্টুনের ভিতরে বিশেষ কৌশলে কালো রংয়ের বিষ্ণু মূর্তিটি সংরক্ষণ করা হয়েছিল। মূর্তিটির দৈর্ঘ্য ৫০ ইঞ্চি, প্রস্থ ২১ ইঞ্চি, ওজন প্রায় ১৬৫ কেজি। মূর্তিটি বিভিন্ন ব্যক্তির হাত বদলের মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচারের চেষ্টা চলছিল। সর্বশেষ আমিনবাজারের এক ব্যক্তির কাছ থেকে দেলোয়ারের কাছে এসেছে।
তিনি আরও জানায়, উদ্ধারকৃত মূর্তিটির বাজার মূল্য আনুমানিক ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। এ ঘটনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে তাকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল মিঞা, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো. আশিক ইকবাল, এসআই মো. আমির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/বি