ফরিদপুরে পরকীয়ার সন্দেহের জেরে স্ত্রী লিপি বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেছে স্বামী শফিকুল ইসলাম কালা নামে এক বৃদ্ধ।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার ভাটি লক্ষ্মীপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বামী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় লিপি বেগমকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে শফিকুল ইসলাম কালা ও লিপি বেগমের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
তাদের ছেলে পনির ইসলাম জানান, বাবা-মায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক কলহ চলছিল। গতরাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। বাবা রাগ করে বাসা ছেড়ে চলে যান। সকালে ফিরে এসে বলেন, ‘জামাকাপড় দাও, আমি ঢাকা চলে যাব।’ এরপর রুমে ঢুকে মাকে ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে নিজের কাপড় নিয়ে পালিয়ে যান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তাদের নাতনি স্মৃতি আক্তার জানায়, দাদা রুমে ঢুকে দাদিকে শীতের কাপড় দিতে বলেন। এরপর জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি বাবলুর সঙ্গে কী করছো?’ এ নিয়ে ঝগড়া বাধে। এক পর্যায়ে দাদা দাদিকে কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করতে বলেন। দাদি রাজি হতেই দাদা কোমর থেকে ছুরি বের করে গলায় বসিয়ে দেন। আমি চিৎকার করে উঠি।
এদিকে খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল ও সদর হাসপাতালে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক লিপি বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে এবং অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
কেকে/ আরআই