মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক যুবকের হাত লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল নয়টায় উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের ভাসারচর গ্রামের দক্ষিণ দিকে মেঘনা নদীর পাড়ে এই ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ ওই যুবকের নাম মাসুদ রানা (৩১)। সে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের চর শিমুলিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
মাসুদ রানা বলেন, ‘সকালে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছের ঝোঁপে কাজ করার সময় প্রতিপক্ষ জিতু রাঢ়ী বাহিনীর বাহিনীর ১০-১২জন সদস্য আমাকে ঘেরাও করে ফেলে। এ সময় তারা আমাকে মারধর করে একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে উঠিয়ে গজারিয়ার ভাসারচর এলাকায় নিয়ে আসে। গত কয়েক বছর আগে আমি তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছিলাম- সেকথা উল্লেখ করে তারা আমার একটি হাত কেটে ফেলার পরিকল্পনা করে। সেই মুহূর্তে তাদের দলের এক সদস্য পিস্তল দিয়ে আমার বাম হাতের তালু বরাবর একটি গুলি করে। গুলিটি আমার বুড়ো আঙুলের কাছাকাছি জায়গায় লাগে। আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে তারা আমাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে আমি গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসি।’
তবে আহত মাসুদ রানার বাবা আব্দুল খালেক প্রধানের দাবি, প্রতিপক্ষের লোকজনের মাধ্যমে প্রভাবিত মাসুদ হয়ে এসব কথা বলছে। গুলিবর্ষণ বা মারধরের কোন ঘটনা ঘটে নাই। সে কাজ করার সময় হাতে আঘাত পেয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশরাফুল আলম শুভ বলেন, ‘আহত মাসুদের হাতে গুলি জাতীয় কিছু আঘাত রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আমরা। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত জিতু রাঢ়ী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। যা আমি জানি না, সেখানে আমার জড়িত থাকার প্রশ্নই উঠে না। পলাতক নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াসের কথা অনুযায়ী, মাসুদ রানা নাটক করছে। আপনারা বিষয়টি খতিয়ে দেখুন।’
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে এ রকম একটি খবর আমিও পেয়েছি। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। গুলিবর্ষণের ঘটনাটির এখনো পর্যন্ত সত্যতা পাইনি আমরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
কেকে/এমএ