জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতিভাঙা ইউনিয়নের চৌকার চর গ্রামে মোছা. শান্তি আক্তার (২৫) নামের গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহতের স্বজনদের দাবি, শান্তিকে তার স্বামী মো. এরশাদ মিয়া (৩০) পিটিয়ে হত্যা করেছে।
ঘটনার পর থেকে মো. এরশাদ মিয়াপলাতক রয়েছেন।
শান্তি আক্তারের বাবার বাড়ির লোকজনের দাবি, তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে, শশুর বাড়ির লোকজনের দাবি, আত্মহত্যা করে মৃত্যুবরণ করেছে।
জানা গেছে, শনিবার (৪ অক্টোবর) রাত প্রায় ২টার দিকে শান্তি আক্তারের সাথে স্বামী এরশাদের দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা হয়। রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস অবস্থায় শান্তির লাশ পাওয়া যায়।
জানা যায়, নিহত শান্তি আক্তার পশ্চিম সাত ভিটা গ্রামের ধলু মিয়ার মেয়ে। আট বছর আগে পারিবারিক সমঝোতার মাধ্যমে তার বিয়ে হয় চৌকার চর গ্রামের নাদু মিয়ার ছেলে মো. এরশাদ মিয়ার সাথে। এরশাদ নারায়ণগঞ্জের কাচপুর এলাকায় গাড়িচালকের কাজ করতেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুইটি সন্তান মো. আশরাফ আলী (৫) ও মো. শুভ (১)
নিহতের ছোট ভাই মো. সজিব মিয়া (২২) ও আত্মীয়স্বজনদের দাবি, পারিবারিক কলহের জেরে এরশাদ মিয়া স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
তারা বলেন, ‘দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত।’
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হাসান বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কেকে/ এমএ