সাতক্ষীরার বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ২০০ টাকা থেকে ২৮০ পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমানে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। অথচ মাত্র একসপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে এই কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১০০-১২০ টাকা কেজি।
রোববার (৫ অক্টোবর) সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড় বাজারে দেখা গেছে, পাইকারি বাজরে ভারতীয় আমদানি করা কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি। খুচরা বাজারে এই মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। মাত্র এক সপ্তাহ আগে সাতক্ষীরার বাজারে এই মরিচ বিক্রি হয়েছে পাইকারিতে ১০০-১২০ টাকা কেজি।
পূজার কারণে ভারতীয় কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে বলে জানান পাইকারি বিক্রেতারা।
বড়বাজারের পাইকারি কাঁচা মরিচ বিক্রেতা (আড়তদার) তুহিন আব্দুল্লাহ বলেন, “আমরা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের এজেন্টদের কাছ থেকে কাঁচা মরিচ কিনে এনে আড়তে বিক্রি করি। পূজার কারণে ভোমরা পোর্ট বন্ধ থাকায় ভারত থেকে কাঁচা মরিচ না আসার কারণে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। ফলে আমাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। বহু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বন্ধের সুযোগ নিয়েছেন। বন্ধের সময় অল্প অল্প করে মরিচ বাজারে ছেড়েছেন। যে কারণে দামও বড়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এমনিতে এ বছর কাঁচা মরিচের ব্যবসায় লোকসান হচ্ছে। শুধু আড়তদারি টিকিয়ে রাখতে ব্যবসায় চালু রেখেছি। অন্য সময় আমার ঘরে মরিচের বস্তার জন্য পা দেওয়ার জায়গা থাকে না। আর এখন এই অল্প কিছু মরিচ নিয়ে বসে আছি। তবে শনিবার (৪ অক্টোবর) থেকে পোর্ট খুলেছে। আশা করছি, আগামী সোম-মঙ্গলবার থেকে মরিচের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।”
সুলতানপুর বড় বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা শহরের মুনজিতপুর এলাকার প্রবীর কুমার ঢালী বলেন, ‘গত সপ্তাহে যে মরিচ ১৫০ টাকা কেজি কিনেছি, এখন তা কিনতে হচ্ছে ৪০০ টাকায়। ১০০ গ্রাম কাাঁচা মরিচ কিনলাম ৪০ টাকা দিয়ে। বাজারে কোন জিনিসের দামের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই। বিক্রেতা ইচ্ছামত দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করছে।’
তিনি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান।
বড়বাজারের খুচরা বিক্রেতা আমির আলী বলেন, “আড়তদারি দিয়ে ৩০০ টাকার উপরে কাঁচা মরিচের কেজি কিনতে হচ্ছে। তারপর অনেক সময় পচা বের হয়। অনেক মরিচ নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে কেজি বিক্রি করছি সাড়ে ৩০০ টাকা, আর ১০০ গ্রাম, ২০০ গ্রাম নিলে ৪০০ টাকা কেজি।”
কেকে/ এমএ