মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পুরা দুর্গা চরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ এখন জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। একসময় যেখানে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় যুবকরা খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতেন, আজ সেখানে জমে আছে পানি।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে দেখা যায়, পুরা দূর্গা চরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি পানিতে ডুবে আছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মাঠে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এটি জলাবদ্ধতায় ভরে যায়। ফলে মাঠে কোনো খেলা বা অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেমন খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি এলাকার ক্রীড়া সংস্কৃতিও হারিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী ফসলি জমি ভরাটের জন্য ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার সময় খেলার মাঠে ড্রেজারের পানি ছাড়া হয়। এতে মাঠটি পানিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় মাঠটি এখন স্থায়ী জলাশয়ে পরিণত হয়েছে।
বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক জানান, মাঠটি বিদ্যালয়ের গৌরবময় ঐতিহ্যের অংশ ছিল। এখন তা জলাশয়ে পরিণত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বাধা তৈরি হচ্ছে।
তিনি দ্রুত মাঠটি পুনরুদ্ধার ও পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও জানান, একসময় বিকালের পর মাঠে খেলা, ব্যায়াম ও সামাজিক মিলনমেলা হতো। এখন সেখানকার চিত্র একেবারেই ভিন্ন— জলাবদ্ধতার কারণে আশেপাশের এলাকাতেও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান বলেন, ‘কোনো অনুমতি ছাড়াই তারা ড্রেজারের পানি বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ছেড়ে দেয়। আমি তাইযুদ্দিন আকনকে একাধিকবার পানি নিষ্কাশনের জন্য বলা হলেও তারা পানি সরাচ্ছে না।’
এ বিষয়ে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মো. হান্নান বলেন, ‘অনুমতি ছাড়া একটা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে কোনোভাবেই পানি ছাড়তে পারেন না।’
এ ব্যাপারে কথা বলতে তাইযুদ্দিন আকনের সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কেকে/ এমএ