কুমিল্লায় পঞ্চমবারের মতো ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দারসহ ১৪ সদস্য। পুলিশের চেকপোস্ট দেখে ডাকাত দল পালানোর চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
বুধবার (১ অক্টোবর) পুলিশ সুপার নজির আহমেদ খান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার লালমাই থানায় দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এরপর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, বুড়িচং উপজেলার বাঙ্গরা থানা এলাকায় একটি ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুলিশের টহল বাড়িয়ে দেওয়ায় ওই এলাকায় ডাকাতি করতে না পেরে ডাকাত দলটি সিদ্ধান্ত নেয় দেবিদ্বার এলাকায় ডাকাতি করার। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, একটি কালো রঙের হাইএস গাড়িতে করে ডাকাত দল রওনা হয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলা বাড়ি এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত সদস্যরা গাড়ির দরজা খুলে ও জানালার গ্লাস ভেঙে পালানোর চেষ্টা করে। তবে পুলিশ তৎপরতা দেখিয়ে ১৪ জন ডাকাত সদস্যকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করে।
তিনি আরও জানান, তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে লালমাই এলাকায় তিনটি, বরুড়ায় একটি ও নবীনগর থানা এলাকায় একটি ডাকাতি ঘটিয়েছে তারা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি স্বর্ণের চেইন, এক জোড়া নুপুর ও নগদ বিশ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার শাহ আলম দুলাল, মো. মনির হোসেন, মামুন মিয়া, মাহবুব আলম, আলমগীর হোসেন, আল আমিন, কামাল হোসেন, মোশাররফ শরীফ, মো. সুমন, মো. খোকন, আমামিন, মো. সোহেল, আউয়াল ও নিহার বিশ্বাস।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃতদের ডাকাতি প্রস্তুতির মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কেকে/ আরআই