পূজোর ছুটির কারণে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানী বন্ধ রয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই মেহেরপুরের পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম এক লাফে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
রোববার পর্যন্ত (২৯ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুর জেলার পাইকারী বাজারে যেখানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০-১১০ টাকায়, সেই মরিচের দাম এখন পৌঁছেছে ২১০ টাকা পর্যন্ত।
এ প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। ক্রেতাদের এখন প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ কিনতে হচ্ছে ২৬০-২৭০ টাকা দরে।
বাজার ঘুরে কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার অতিবৃষ্টির পরও তুলনামূলকভাবে অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। বিশেষ করে আলু ও মুখীকুচুর দাম অস্বাভাবিকভাবে কম। এতে ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তিতে থাকলেও মরিচের দাম বেড়ে যাওয়া বেশ অস্বস্তিকর বলে তারা মন্তব্য করেন।
এদিকে মেহেরপুর জেলার সবচেয়ে বড় কাঁচা মরিচের আড়ত গাংনী কাঁচা বাজার। এখান থেকেই রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন বেশ কয়েকটি ট্রাকে কাঁচা মরিচ সরবরাহ করা হয়। আজ সোমবারও কয়েকটি ট্রাক কাঁচা মরিচ বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে গাংনী কাঁচা বাজারের আড়তদার সাহাদুল ইসলাম বলেন, পূজোর ছুটির কারণে স্থলবন্দরগুলো দিয়ে ভারত থেকে আসছে না কাঁচা মরিচ। এতে আকস্মিক দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। চাষীরাও চালাক। তারাও জানতেন পূজোর ছুটিতে মরিচ আমদানী বন্ধ থাকে। এ কারণে অনেকেই দুই সপ্তাহ ধরে মরিচ তোলেননি। এখন মরিচ তুলে বাজারে নিয়ে আসছেন।
একই বাজারের আরেক আড়তদার ফারুক হোসেন বলেন, বেনাপোল ও হিলি দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানী হয়। ভারতের পূজোর ছুটির কারণে তা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে হঠাতই কাঁচা মরিচের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
মেহেরপুরের আড়পাড়া গ্রামের মরিচ চাষী আলেক উদ্দীন বলেন, গেল ৪/৫ মাস ধরে বৃষ্টিপাত অব্যহত রয়েছে। যা বিগত ২০ বছরের মধ্যে ছিল না। অতিবৃষ্টিতে বেশিরভাগ চাষীর মরিচ ক্ষেত বিনষ্ট হয়ে গেছে। যা দুয়েকজনের আছে তারাই এখন বেশি লাভ করতে পারছেন। কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় চাষীরা বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
কেকে/ আরআই