রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদকে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায় বদলির সরকারি আদেশ জারি হয়েছে। তার আকস্মিক বদলিতে উপজেলা জুড়ে সাধারণ জনগণের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তার আকস্মিক বদলি স্থগিতের দাবিতে মানববন্ধন করেছে উপজেলাবাসী।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার সময় উপজেলা সদরে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্মাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বদলি আদেশ জারি করা হয়।
জানা গেছে, মাত্র সাত মাস আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারিতে তিনি গোদাগাড়ী উপজেলায় যোগদান করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় এলাকাবাসীর কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছেন।
স্থানীয়দের দাবি, জনস্বার্থ উপেক্ষা করে হঠাৎ করে তাকে বদলি করা হলে উপজেলাবাসীর ক্ষতি হবে। ইউএনও ফয়সাল আহমেদ এই অল্প সময়ের মধ্যে মাদকসেবন ও ব্যবসায়ী নির্মূলে কার্যকর ভূমিকা পালন করেন এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম চালু করেন। উপজেলায় একাধিক রাস্তা-ঘাট সংস্কার ও নির্মাণ করেন। ৯টি ইউনিয়নে মিনি শিশু পার্ক স্থাপন করেন। শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদান এবং নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সেলাই ও কৃষি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করেন। চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য জনগণের ব্যবহারে স্পিডবোটের ব্যবস্থা করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করেন।
গোদাগাড়ী উপজেলার সাধারণ মানুষ মনে করছেন, তাঁর মতো একজন কর্মঠ, সৎ ও জনবান্ধব কর্মকর্তা চলে গেলে এটি হবে উপজেলাবাসীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। ইতোমধ্যে বদলি স্থগিতের জন্য তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, নিয়মিত রুটিন বদলির অংশ হিসেবেই এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর দাবির বিষয়টি মন্ত্রণালয় গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।
কেকে/ এমএস