স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের মধ্যেই পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে খাগড়াছড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
চেঙ্গী স্কয়ার, নারিকেল বাগান, মহাজনপাড়া এলাকায় পাহাড়ি-বাঙালি দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের ইটপাটকেলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। আহত হয়েছে উভয় পক্ষের ৩০ জনেরও বেশি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
পুলিশ ও সোনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে এক পর্যায়ে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বিজ্ঞপ্তিতে আদেশ দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং জনগণের জান ও মালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা রয়েছে। তাই ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮’-এর ১৪৪ ধারা জারির আদেশ করা হয়।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আজ দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় এই আদেশ জারি করা হয়। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত চয়ন শীল নামে এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। ওই কিশোর বর্তমানে ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরও ২ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে খাগড়াছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ডাকা হয়।
শনিবার সকাল থেকে অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সাথে দীঘিনালা, পানছড়ি, রামগড়, মহালছড়িসহ ৯ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে।
এ পরিস্থিতিতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং জনগণের জান ও মালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করেন জেলা প্রশাসক।
একই কারণে শনিবার বিকাল ৩টায় জেলার গুইমারা উপজেলায়ও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
কেকে/ এমএ