ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদ এবং বিজ্ঞানভুক্ত তিনটি অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে নবীনবরণের আয়োজন করা হয়।
এ সময় নবীন শিক্ষার্থীদের রজনীগন্ধা ফুল, নোটপ্যাড, কোড অব কন্ডাক্ট ও শিক্ষা সামগ্রী সম্বলিত ফাইল উপহার দিয়ে বরণ করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য নবীনদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা এমন এক জায়গায় এসেছো যেখানে গোটা বিশ্বকে উপস্থাপন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় হলো শিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্র। সময় নষ্ট করলে তা আর ফিরে পাওয়া যাবে না। তাই এখন থেকেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তোমাদের শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি আর শিক্ষকদের সঙ্গে সময় কাটানো উচিত। এর বাইরে যদি সময় নষ্ট করো, তবে তা ব্যর্থতায় রূপ নিতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি উপাচার্য হিসেবে প্রতিটি বিভাগে যাবো এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবো, যেন তাদের কথা শোনা যায় ও দূরত্ব কমানো যায়।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীনবরণ একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আজকের সূচনা সংগীতটি লিখেছিল ২০১২ সালে দু’জন ছাত্র, যারা পরে রাজনৈতিক কারণে ঢাকা থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে আজকের “জেন-জি” প্রজন্ম সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করে ইবিকে এগিয়ে নিতে হবে। ইউজিসির পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা থাকবে।’
কেকে/ আরআই