ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার শাক্তা ইউনিয়নের পাচদোনা বাদশার দোকানের মোড়ে একটি ইলেক্ট্রোনিকস দোকানে লুট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, যুবলীগ সদস্য তাজিম উদ্দিনের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনা ঘটে। মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। পরে জামিনে মুক্তি পেলেও, বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে তাজিম উদ্দিন কয়েকজন সশস্ত্রসহ দোকানে হামলা চালিয়ে প্রায় ৯০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে এবং ১৫ লাখ টাকার পিকআপ ও অন্যান্য মালামালে আগুন লাগিয়ে দেয়।
অভিযুক্ত, তাজিম উদ্দিনের অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, ঐ জমি তার মালিকানাধীন, রফিকুল ইসলাম অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। তবে অগ্নিসংযোগের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
আটি বাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, টহল দেওয়ার সময় দোকানের সামনে গাড়ি ও মালামালে আগুন জ্বলতে দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন এবং স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন সম্পূর্ণ নেভায়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুল হক ডাবলু জানান, ঘটনায় উভয় পক্ষের ২টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/বি