জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৩ হাজার ৩৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুর রশীদ জিতু ও সাধারণ সম্পাদক পদে (জিএস) পদে ৩ হাজার ৯২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মাজহারুল ইসলাম।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এই ফল ঘোষণা করেন জাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান।
নির্বাচিত ভিপি আব্দুর রশীদ জিতু ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ প্যানেল ও জিএস মাজহারুল ইসলাম শিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন।
সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের নির্বাচিত অন্য দুই শীর্ষ পদে এজিএস (পুরুষ) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফেরদৌস আল হাসান (২ হাজার ৩৫৮ ভোট) ও এজিএস (নারী) দর্শন বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী আয়শা সিদ্দিকা মেঘলা (৩ হাজার ৪০২)।
অন্যান্য পদে যারা নির্বাচিত হয়েছেন—
৫. শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক—আবু ওবায়দা ওসামা (শিবির প্যানেল)
৬. পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক—মো. শাফায়েত মীর (শিবির প্যানেল)
৭. সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক—মো. জাহিদুল ইসলাম (শিবির প্যানেল)
৮. সাংস্কৃতিক সম্পাদক—মহিবুল্লাহ শেখ জিসান (স্বতন্ত্র)
৯. সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক—মো. রায়হান উদ্দীন (শিবির প্যানেল)
১০. নাট্য সম্পাদক—মো রুহুল ইসলাম (শিবির প্যানেল)
১১. ক্রীড়া সম্পাদক—মাহমুদুল হাসান কিরন (স্বতন্ত্র)
১২. সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী)—ফারহানা আক্তার লুবনা (শিবির প্যানেল)
১৩. সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ)—মো. মাহাদী হাসান (শিবির প্যানেল)
১৪. তথ্য প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক—মো. রাশেদুল ইসলাম লিখন (শিবির প্যানেল)
১৫. সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক—আহসাব লাবিব (গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-বাগছাস)
১৬. সহসমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (নারী)—নিগার সুলতানা (শিবির প্যানেল)
১৭. সহসমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (পুরুষ)—মো. তৌহিদ হাসান (শিবির প্যানেল)
১৮. স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক—হুসনী মোবারক (শিবির প্যানেল)
১৯. পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক—মো. তানভীর রহমান (শিবির প্যানেল)
দীর্ঘ ৪০ ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফলাফল ঘোষনা করা হলো। এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাকসুর ভোটগ্রহণ করা হয়। ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালট বাক্স নেয়া হয় সিনেট হলে। সেখানে প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে ভোট গণনা চলে।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৮৯৭। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোট দিয়েছেন প্রায় ৬৭ থেকে ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ৯ জন, জিএস পদে ৮ জন, এজিএস পদে ১৬ জন এবং নারী প্রার্থী ছিলেন ৬ জন।
এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্যানেল আটটি হলো গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’, ছাত্রশিবিরের ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’, ছাত্রদলের নিজস্ব প্যানেল, বামপন্থিদের তিনটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দুটি প্যানেল। নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কেকে/এজে