চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফখরুল ইসলাম।
গ্রাম আদালত প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী মোহছেনা মিনার সঞ্চালনায় কর্মশালায় গ্রাম আদালত আইন, বিধিমালা ও গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণে করনীয় শীর্ষক তথ্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার সাজেদুল আনোয়ার ভূঁঞা।
“গ্রামে শান্তি, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আসুন সবাই মিলে গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করি”-এই স্লোনকে সামনে রেখে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় গ্রাম আদালতের প্রয়োজনীয়তা, গ্রাম আদালত আইনের লঙ্ঘন করে দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য ও রাজনৈতিক নেতাদের শালিশ বাীনজ্যের কথা উঠে আসে। বিগত সরকারের আমলে গ্রাম আদালত আইনকে উপেক্ষা করে শালিশ বাণিজ্যের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের রাতারাতি টাকার পাহাড় গড়ার বিষয়টিও উঠে আসে। বর্তমানে সেই ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতিতে বিচারিক সেবা তথা গ্রাম আদালত কার্যকর করার ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা ব্যক্ত করা হয়।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা নিজ এলাকায় গ্রাম আদালতের সেবা বিষয়ক ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধির জন্য নিজ নিজ ওয়ার্ডে মাইকিং, জুমার নামাজের খুতবায় গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রচার-প্রচারণা পরিচালনার পরামর্শ দেন।
ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রাম আদালত ইউনিয়ন পরিষদের নতুন কোন কাজ না। এটি ১৯৭৬ সাল থেকেই ছিল, তবে সক্রিয় ছিল না। ৫ আগস্টের আগেও যে এটি পুরোদমে সক্রিয় ছিল- এমনটা না। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে চেয়ারম্যান ও মেম্বার না থাকায় গ্রাম আদালত সক্রিয় রাখা নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। আমরা সরবকারের সব সেবা নিশ্চিত করতে যেমন আপনাদের সাথে নিয়ে কাজ করছি, তেমনি গ্রাম আদালতের বিচারিক সেবা নিশ্চিত করতেও আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাম আদালত এমন একটি বিচারিক প্রক্রিয়া; যা আইন দ্বারা স্বীকৃত। এটি বিগত বা বর্তমান কোন সময়েই বন্ধ করার দাবি বা প্রস্তাব উঠেনি। এতে প্রমাণিত হয় স্থানীয় বিরোধ নিষ্পত্তিতে গ্রাম আদালত একটি কার্যকর উদ্যোগ। এতে বিরোধের পক্ষদ্বয় অল্প সময়ে, কম খরছে দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারে। গ্রাম আদালতের যেটুকু সমালোচনা তা হলো আইনকে সঠিকভাবে প্রয়োগ বা কার্যকর না করার।’
তিনি গ্রাম আদালত পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ ওয়ার্ড সদস্যবৃন্দ, প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ এলাকার গন্যমান্য ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সীতাকুন্ডের ৯টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত সক্রিয় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কেকে/এমএ