মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পড়া বুঝতে না পারায় পিটিয়ে শিক্ষার্থীর পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হলে গা ঢাকা দিয়েছে ঐ শিক্ষক।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ভবেরচর কলেজ রোড এলাকার দারুল হাবিব ইসলামিক একাডেমি নামে মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান (১২) বলেন, ‘হুজুর মোশারফ হোসেন আমাদের পড়াচ্ছিলেন। আমি ঠিকভাবে তার পড়া বুঝতে না পারায় তিনি আমাকে বেত দিয়ে পেটানো শুরু করেন। এ ঘটনার পর রাতে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমার মা এসে আমাকে বাসায় নিয়ে যায়।’
বিষয়টি সম্পর্কে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা এবাদুল ঢালী বলেন, ‘সারারাত আমার সন্তানের ডাক চিৎকারে আমরা ঘুমোতে পারি নাই। এভাবে একজন মানুষ কিভাবে আরেকজন মানুষকে মারতে পারে? এই ঘটনা এবারই প্রথম নয় এর আগে ২বার এভাবে আমার সন্তানকে হুজুর মেরেছিল। এবার হুজুরের বেদরক মারধরে আমার ছেলের পা ভেঙে যাওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়েছে। আমি আমার সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমি ওই হুজুরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করব।’
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা মোশারফ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটা বন্ধ পাওয়া যায়।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পর পর অভিযুক্ত শিক্ষক স্বেচ্ছায় আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে চলে গেছেন। শুনেছি তার ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ হচ্ছে। এর বেশি আমি আর কিছুই জানি না।’
এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশরাফুল আলম শুভ বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে আহত ওই ছাত্রকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার গায়ের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পায়ে ফ্র্যাকচার হওয়ায় আমরা প্লাস্টার করে দিয়েছি। চিকিৎসা নিয়ে পরিবারের লোকজনের সাথে সে বাসায় ফিরে গেছে।’
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কেকে/ এমএ