কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া এলাকার সাংবাদিক আরিফ সম্রাটের ওপর মব সৃষ্টি করে হামলার চেষ্টা ও জনসম্মুখে হুমকি ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগে বলা হয়, আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মনজুর ইসলাম, হাজী মনির হোসেন, নাজির হোসেন, সৈকত আহমেদসহ কয়েকজন মিলে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মঞ্জুর, কিশোর গ্যাং লিডার সৈকত, নাজিরসহ ২০/১৫ জন লোক পুলিশের সম্মুখেই ভুক্তভোগী সাংবাদিককে শাসাচ্ছেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন।
সাংবাদিক আরিফ সম্রাট জানান, গত ২৮ আগস্ট রাত ৮টা ১৩ মিনিটে খোলামোড়া নবাবচর শাহজাহান রোড এলাকায় তার মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্দেহভাজন চোরের পক্ষ নিয়ে অভিযুক্তরা জনসম্মুখে তাকে হুমকি দেয় ও লাঞ্ছিত করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকায় এ যাত্রায় তিনি বেঁচে যান বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত জুলাই আন্দোলনে ৪ আগস্ট ঘাটারচরে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল থেকে ছাত্র জনতার ওপর হামলা ও গুলির একটি ভিডিও ধরা পড়ে সাংবাদিক আরিফ সম্রাটের ক্যামেরায়। পরবর্তীতে সেই ভিডিওটি ব্যাপকভাবে প্রচার হলে অনেকেই গ্রেফতার হন। যার মাঝে অভিযুক্তদের স্বজনরাও ছিল। ধারণা করা হচ্ছে এর পর থেকেই তারা সাংবাদিক আরিফ সম্রাটের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।
আরিফ সম্রাট বলেন, আমাকে সামাজিকভাবে কোণঠাসা এবং হেয় করতে জনসম্মুখে হুমকি ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল হক ডাবলু জানান, বিষয়টি আমরা গভীরভাবে তদন্ত করছি। সাংবাদিকের ওপর হামলা হলে অভিযুক্তকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
কেকে/এজে