নীলফামারীর জলঢাকায় বালু সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করেছে প্রশাসন। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাদের প্রত্যেককে ১ মাস করে সাজা প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকালে উপজেলার গোলমুন্ডা ঘাটের পার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হলে ভ্রাম্যমান আদালতের বালু ও মাটি মহল ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ (১) ধারায় তাদের প্রত্যকে এক মাসের বিনাশ্রম সাজা প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জায়িদ ইমরুল মোয়াক্কিন।
সাজা প্রাপ্তরা হলেন হলেন, নীলফামারীর পলাশবাড়ি এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে সজিব ইসলাম (৩০)। একই উপজেলার শান্তিনগরের খয়েরজান আলীর, ছেলে রশিদুল ইসলাম (৩৮) ও রংপুর সিও বাজার এলাকার মাহবুব ইসলামের ছেলে আরাফাত মিয়া (২৫)।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ ইমরুল মোযাক্কিন বলেন, অবৈধভাবে ভাবে কেউ এরকম কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতের কড়া নির্দেশনার পরেও কোনও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই সিন্ডিকেট করে গোলমুন্ডা ঘাটের পাড়ে বুড়ি তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির মহোৎসব চলে। এছাড়াও ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ট্রলি এবং ভারী ড্রামট্রাকে করে নদী রক্ষা বাধের উপর দিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে বালু খেকোরা।
ফলে এক দিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আর অন্যদিকে বাধটি প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় কৃষকেরা আশঙ্কায় রয়েছেন তাদের হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল নিয়ে। এ চিত্র শুধু গোলমুন্ডা ঘাটের পাড়েই নয়, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় লক্ষ্য করা গেছে।
খোজ নিয়ে দেখা গেছে উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত বুড়ি তিস্তা নদীর ঘাটের পার ডাউয়াবাড়ী, বালাগ্রামসহ বড় তিস্তা নদীর গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড্ শাইফুন বাজার অংশেই অন্তত ৩-৪ টি পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নদীর চরের কৃষি জমিগুলোও ছাড় দিচ্ছে না বালু খেকোরা। অপরিকল্পিত ভাবে নদী এবং চরের কৃষি জমিগুলো থেকে বালু উত্তোলনের ফলে বুড়ি তিস্তা ও বড় তিস্তা নদীর ডান বাম তীরে অবস্থিত গ্রামীন কাচাঁ সড়কে চলাচলে চরম দৃর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সেখানকার মানুষকে।
কেকে/ এমএস