১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ৭ টি ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন হয়েছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে। এ ঘটনায় নাঙ্গলকোট উপজেলাজুড়ে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
পূর্ব থেকে কোনো নোটিশ না দিয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসার পর স্কুল মাঠে সম্মেলন মঞ্চ দেখে স্কুল ছুটি দিয়ে দেয় প্রতিষ্ঠানগুলো। কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্মেলন মঞ্চের মাইকের সাউন্ড উপেক্ষা করে কয়েক ঘন্টা ক্লাস চালিয়ে পরবর্তীতে ছুটি দিয়ে দিতে বাধ্য হন।
বিএনপির সম্মেলনের জন্য বন্ধ করে দেয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের ভোলাইন বাজার স্কুল এন্ড কলেজ, ভোলাইন বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বটতলী ইউনিয়নের বটতলী এম এ মতিন উচ্চ বিদ্যালয়, বটতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের বক্সগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, বক্সগঞ্জ আলিম মাদরাসা, বক্সগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের জোড্ডা বাজার পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়, জোড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোড্ডা বাজার সিদ্দিকীয়া আলিম মাদরাসা, জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নের দুয়ারিয়া জা'মিউল উলূম কওমী মাদ্রাসা।
স্থানীয়রা বলেন, নাঙ্গলকোট উপজেলার বিএনপির ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৫ টি ইউনিয়ন সম্মেলন ১২ ও ১৩ আগস্ট করার ঘোষণা দেয় উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। ঘোষনা অনুযায়ী ১২ আগস্ট মঙ্গলবার ৭টি ইউনিয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন গুলোর মধ্যে দৌলখাঁড় ও আদ্রা উত্তর ইউনিয়ন সম্মেলন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে না করে অন্যত্রে আয়োজন করা হয়। বাকি ৫ ইউনিয়ন তাদের সম্মেলন মঞ্চ তৈরি করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে। একই মাঠে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় ৫ ইউনিয়ন সম্মেলনের জন্য মোট ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক নজির আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, নাঙ্গলকোট উপজেলায় যে প্রক্রিয়ায় ইউনিয়ন সম্মেলন হচ্ছে এটি দলীয় গঠনতন্ত্র বিরোধী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দলীয় কোন কার্যক্রম করার বিধান আমাদের দলে নেই। বিএনপি সুশৃঙ্খলিত দল এ দলের বদনাম করার জন্য যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে তথাকথিত ইউনিয়ন সম্মেলনের আয়োজন করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দকে অবহিত করব।
নাঙ্গলকোট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, বিএনপির ইউনিয়ন সম্মেলন থাকায় প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ রাখতে হয়েছে। কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কয়েক ঘন্টা চালিয়ে ছুটি দিয়েছে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। কোনো রাজনৈতিক সভার জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকার সুযোগ নেই। খোঁজ নিয়ে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেকে/ এমএস