জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ও গণআকাঙ্ক্ষা হলো বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন করা—যেখানে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও ধর্মীয় স্বাধীনতা সুনিশ্চিত হবে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশের মানুষ নিজেই নিজের রাজনৈতিক নির্মাতা হতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকালে মোংলার মিঠাখালী ফুটবল মাঠে জুলাই স্মৃতি সংসদের আয়োজনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
তিনি বলেন, “দেশকে এমনভাবে গড়তে হবে, যাতে সব ধর্ম, বর্ণ ও বিশ্বাসের মানুষ বাংলাদেশকে নিরাপদ মনে করে। ফ্যাসিবাদী মতাদর্শ যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে জন্য গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক নেতা ও পরিবেশযোদ্ধা মো. নূর আলম শেখ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং কলামিস্ট মোংলা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মো. কোহিনুর সরদার, ক্রীড়া সংগঠক ও বিএনপি নেতা সাবেক কৃতি ফুটবলার শেখ রুস্তম আলী, ক্রীড়া সংগঠক মো. হান্নান সরদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. সাব্বির হোসেন, নারী জাতীয় দলের কৃতি ফুটবলার আকলিমা খাতুন, সাবেক কাউন্সিলর আ. কাদের, চাঁদপাই মেছেরশাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক অসিত গুপ্ত, ক্রীড়া সংগঠক জুস্ট সরদার, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের উপজেলা সভাপতি মো. শাহ্ আলম শেখ, নাজমুল হক, শহিদ জিয়া স্মৃতি সংসদের খানজাহান আলী, সোহাগ মিলন প্রমুখ।
শেখ রুস্তম আলী বলেন, “যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। খেলাধুলাকে উৎসাহ দিয়ে সুস্থ, সবল জাতি গড়ে গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে।”
ম্যাচে অংশ নেয় মোংলা উপজেলা ফুটবল একাদশ ও মোংলা পৌরসভা ফুটবল একাদশ। খেলার শুরুতেই শহিদদের স্মরণে ও আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ম্যাচটি গোলশূন্যভাবে (০-০) ড্র হয়।
কেকে/এআর