বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা ও সন্দেহের খানিকটা অবসান ঘটবে। নির্বাচন সংক্রান্ত ঘোষণার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সরকারের মনস্তাত্ত্বিক দূরত্বও কমে আসবে।
বুধবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সরকারের এ ঘোষণাকে স্বাগত জানায়।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে ঘোষণা দিয়েছেন—তাকে স্বাগত জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা ও সন্দেহ অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছিল তার খানিকটা অবসান ঘটবে। একইসঙ্গে এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে সরকারের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর যে মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাও কিছুটা দূর হবে বলে আশা করা যায়।
তিনি আশা করেন সরকারের রাজনৈতিক পরামর্শের ভিত্তিতে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আগামী মধ্য ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করা হবে।
বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, প্রধান উপদেষ্টার গতকালের ঘোষণার পর সরকারের দুটো গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে, সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করা। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে যেসব কারণে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে সরকারের উচিৎ হবে তা থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসা।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দলকে বাইরে রেখে এক ধরনের গোপনীয়তার মধ্যে যেভাবে জুলাই ঘোষণা চূড়ান্ত করা হয়েছে ও ঘোষণা দেয়া হয়েছে—তাতে ইতোমধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আর বিদ্যমান আধা নৈরাজ্যিক পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে না পারলে প্রধান উপদেষ্টার প্রত্যাশা অনুযায়ী ইতিহাসের সেরা নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে না।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে নির্বাচনকেন্দ্রীক চ্যালেঞ্জসমূহ ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের ভিতর দিয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা নিশ্চিত করতে পারবে।
কেকে/এজে