বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারতের সঙ্গে আমরা এমন সম্পর্ক চাই না যেখানে অবিচার থাকবে; সম্পর্ক হতে হবে সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) গাজীপুরের কাপাসিয়া পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিএনপির সাবেক নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম. হান্নান শাহর নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশের মানুষ এক বছর আগে দানবীয় সরকারকে তাড়িয়ে দিয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি সরকার গঠন করেছে। তিনি একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি, যিনি ছয়টি সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে দেশ পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচন ঘিরে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে এবং বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “বর্তমান সরকারের সংস্কার কর্মসূচির সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই। বরং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, স্বাধীন গণমাধ্যম চালু এবং নারী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে যে সংস্কারের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন, বিএনপি তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করছে। খালেদা জিয়া নারী শিক্ষা চালু করেছেন, আর তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা আজও জনগণের কল্যাণে প্রাসঙ্গিক।”
তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। ভারত আমাদের বন্ধু দাবি করলেও সীমান্তে নির্বিচারে মানুষ হত্যা, ফারাক্কার পানি আটকে আমাদের ক্ষতি করে যাচ্ছে। আমরা এমন সম্পর্ক চাই না যেখানে অবিচার থাকবে; সম্পর্ক হতে হবে সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে।”
আ.স.ম. হান্নান শাহ সম্পর্কে শ্রদ্ধাভরে মির্জা ফখরুল বলেন, “তিনি ছিলেন অকৃত্রিম দেশপ্রেমিক ও সাহসী সৈনিক। ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকারের সময় যখন বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছিল, তখনও তিনি নির্ভয়ে দলের পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি তাঁর পুত্র শাহ রিয়াজুল হান্নানকে আগামী নির্বাচনে কাপাসিয়া থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জয়ী করার আহ্বান জানান।
কেকে/এজে