যৌন হয়রানির অভিযোগে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশীদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার (৩রা আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ১১৩তম সভার সিদ্ধান্তক্রমে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
একজন নারী শিক্ষার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলীর নির্দেশক্রমে রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, ইতোপূর্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো নারী শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের করেও সুফল পায়নি কিংবা ভয়ে অভিযোগ করতে পারেনি কিন্তু যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে বর্তমান বেরোবি প্রশাসন জিরো টলারেন্স। আবু সাঈদের বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই অভ্যূত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে ক্যাম্পাস গুলোতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ রকম অশোভনীয় আচরণ করার কোনো সুযোগ নাই।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. রশীদুল ইসলাম এর অভিমত জানার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য যে, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। গত ১৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শিক্ষক রশীদুল ইসলাম ও ওই ছাত্রীর মেসেঞ্জারে কথোপকথনের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে, গত ১৭ এপ্রিল পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের (১২তম ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগ এনে একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র সিংহ ও অধ্যাপক ড. মো. রশীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
কেকে/ এমএস