সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫,
২৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার      জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      
দেশজুড়ে
আশ্বাস মিললেও বৃদ্ধার ভাগ্যে মেলেনি ভাতার কার্ড
এম আর সাইফুল, মাদারগঞ্জ (জামালপুর)
প্রকাশ: রোববার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৮:৪৯ পিএম আপডেট: ০৩.০৮.২০২৫ ৯:০১ পিএম
বৃদ্ধা আনোয়ারা। ছবি : প্রতিনিধি

বৃদ্ধা আনোয়ারা। ছবি : প্রতিনিধি

৪২ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন বৃদ্ধা আনোয়ারা। স্বামীর রেখে যাওয়া শেষ সম্বল বাড়ির ভিটা। সেটাও বিক্রি করে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেন। ১৯ বছর আগে সেই মেয়েও মারা যায়। এরপর থেকে অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করে দিন পার করছেন বয়সের ভারে কর্মক্ষম হয়ে পড়েছেন ৭৮ বছরের বৃদ্ধা আনোয়ারা। 

বার্ধক্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছেন তিনি। চিকিৎসা দূরের কথা, তিন বেলা খাবার জোটানোও তার জন্য কষ্টকর। বেঁচে থেকেও আজ মৃতের শামিল তিনি। জীবনের শেষ সময়ে একটু সচ্ছলতার আশায় বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ধরনা দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে। আশ্বাস মিললেও এখনো জোটেনি কোনো কার্ড।

আনোয়ারা জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের বীর পাকেরদহ এলাকার বাসিন্দা। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার জন্মতারিখ ১৯৪৭ সালের ১ আগস্ট। সেই হিসাবে তার বয়স প্রায় ৭৮বছর। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর বয়স সর্বনিম্ন ৬২ বছর এবং পুরুষের বয়স সর্বনিম্ন ৬৫ বছর। সে অনুযায়ী আনোয়ারা বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও দীর্ঘদিনেও কেউ তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননি।

জানা গেছে, মাদারগঞ্জ পৌরসভার কামারপাড়া এলাকার মৃত আহজ্জলের স্ত্রী আনোয়ারা। প্রায় ৪২ বছর আগে তার স্বামী মারা গেছে। রেখে যায় শুধু বাড়ির ভিটা ও একটি কন্যা সন্তান। অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করে কোনোরকমে সংসার চালায় আনোয়ারা। এরপর বাড়ির ভিটা বিক্রি করে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেন উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের বীর পাকেরদহ এলাকায়। মেয়ের বিয়ে পর বিধবা আনোয়ারা মেয়ের শশুর বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। ১৯ বছর আগে সেই মেয়েও মারা যায়। মেয়ের জামাই অন্যত্র বিয়ে করায় আনোয়ারা একা হয় পড়ে। এরপর থেকে আনোয়ারা অন্যের বাসা-বাড়িতে থেকে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এখন সে আর তেমন কাজ করতে পারে না। প্রতিবেশীরা যা খাবার দেয়, তা খেয়েই কোনোরকম দিনপাত করছে।

বৃদ্ধা আনোয়ারা বলেন, স্বামী, সন্তান, জায়গাজমি কিছুই নাই। এইহানে অন্যের বাড়িতে থাকি। মাইনষে আমারে খাওন-দাওন দেয়। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেইক্যা খুব কষ্টে আছি। অ্যাকটা ভাতার কার্ড পাইলে খুব উপকার হইতো।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও চরপাকেরদহ ইউনিয়নের প্রশাসক তৌফিকুল ইসলাম খালেক জানান, বৃদ্ধা আনোয়ারা বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন। তার আবেদনের সাথে মোবাইল নাম্বার না থাকায় ভাতা পায়নি। দ্রুত তাকে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে জানান তিনি।

কেকে/ এমএস
আরও সংবাদ   বিষয়:  আশ্বাস   বৃদ্ধা   ভাতার কার্ড  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাক ভাড়া করে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করত তারা
শিশু বলাৎকার ও হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার
মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি
জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ

সর্বাধিক পঠিত

আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’
চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা
রাজশাহীতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত
পাল্লা বাজারে রক্তলাল শাপলার মনভোলানো সমাহার
কালাইয়ে বিএনপির গণমিছিল ও লিফলেট বিতরণ

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close