ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বহুল প্রত্যাশিত ‘জুলাই সনদ’ জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। তাই জনগণ এই সনদকে প্রত্যাখ্যান করেছে। শুধুমাত্র যেনতেন একটি নির্বাচনের জন্য ছাত্র-জনতা জুলাই অভ্যুত্থানে জীবন দেয়নি।
শনিবার (২ আগস্ট) বিকাল ৫টায় রাজধানী উত্তরের ভাটারায় নগর উত্তর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নিয়মিত নগর, সহযোগী সংগঠন ও থানা শাখার যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহনগর উত্তর সেক্রেটারি মাওলানা মুাহাম্মাদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, মুফতী মো. মাছউদুর রহমান, মুফতী নিজামুদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, মুফতি আব্দুল কুদ্দুস রশিদী, আলহাজ্ব আলাউদ্দিন, মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার অব. আমিনুল হক তালুকদার, মাসুম বিল্লাহ, মুফতি মুস্তাকীম বিল্লাহ, মুফতি সিরাজুল ইসলাম, মুফতী আরমান হোসাইন, মুফতি হাবিবুল্লাহ, আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা, নাজমুল হাসান।
তিনি ঐক্যমত্য কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, প্রায় দেড় হাজার শিশু-কিশোর, ছাত্র-যুবক জীবন দিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার ও সকল ধরণের বৈষম্য দূর করার জন্য। বিশ হাজার আহত এখনো সুচিকিৎসা পায়নি। সংস্কার অসম্পূর্ণ, খুনিদের বিচার দৃশ্যমান হয়নি। ফ্যাসিস্টরা এখনো মিছিল বের করে, রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। অথচ তাদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না। পুলিশসহ প্রশাসনের সর্বত্র আওয়ামী দোসরা এখনো বহাল তবিয়তে আছে। অতএব প্রয়োজনীয় সংস্কার ও খুনীদের বিচার ব্যতীত কোনভাবেই নির্বাচনে যাওয়া যাবে না।
তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই সনদে’ জুলাই’২৪ অভ্যুত্থানের সাংবিধানিক ভিত্তি, আইনি কার্যকারিতা থাকতে হবে। খুনিদের নামের তালিকা, তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি-গুষ্টির উল্লেখ থাকতে হবে। জুলাই যোদ্ধাদের সার্বিক নিরাপত্তা, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার, নির্বাচন কমিশন, আইন ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কার, আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। ভবিষ্যতে যেন কেউ রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে না পারে, তার গ্যারান্টি থাকবে ‘জুলাই সনদে’।
কেকে/এজে