পটুয়াখালীর বাউফলে পরকীয়া সন্দেহে সরোয়ার হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তি স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন।
শুক্রবার (১ আগস্ট) ভোরে চার বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে বাউফল থানায় হাজির হন। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ তার স্ত্রী সালমা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করেছে। মৃত সালমা (৩২) পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার মৃত রুস্তম আলীর মেয়ে।
তিনি বাউফলের নুরাইনপুর নেছারিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। আর সরোয়ার একই উপজেলার মৃত মোকসেদ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাকরির সুবাদে সালমা ও তার স্বামী সরোয়ার তাদের সন্তান সরফরাজকে নিয়ে উপজেলা চন্দ্রপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল।
বৃহস্পতিবার বিকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে স্ত্রী সালমার ঘাড়ে কোপ দেন সরোয়ার। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের পর শুক্রবার ভোরে থানায় হাজির হয়ে সবকিছু স্বীকার করেন সরোয়ার।
বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
কেকে/এএস