ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অংশগ্রহণে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান ‘নবনীতক৯’।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের উন্মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন বর্তমান এবং একজন সাবেক উপাচার্য। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. সোহেল হাসান। উপস্থিত উপাচার্যগণ হলেন:
১. অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, উপাচার্য, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
২. অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী, উপাচার্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
৩. অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম, উপাচার্য, পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
৪. অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান, উপাচার্য, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
৫. অধ্যাপক ড. এস. এম. আব্দুল আওয়াল, উপাচার্য, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
৬. অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল আহসান, উপাচার্য, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
৭. অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক উপাচার্য, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে অংশগ্রহণকারী সকলকে নিম্নলিখিত নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
নির্দেশনা—
১. মোটরসাইকেলসহ সকল যানবাহনের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। ২. বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সামনের রাস্তা, মেইন গেট, হল গেট, মন্দির গেট, লেকপাড়ের কাঠের পুল এবং একাডেমিক ভবনের দক্ষিণ গেট পুলিশ পাহারায় থাকবে। ৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশের জন্য অবশ্যই শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট আইডি কার্ড, লাইব্রেরি কার্ড অথবা বিভাগের প্রত্যয়নপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারবর্গ এবং অতিথিদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখা থেকে প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
৪. একাডেমিক ভবনের দক্ষিণ গেট দিয়ে ছেলেমেয়েরা পৃথক দুই লাইনে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করবে। প্রবেশের সময় অবশ্যই আইডি কার্ড, লাইব্রেরি কার্ড অথবা প্রত্যয়নপত্র প্রদর্শন করতে হবে। ৫. দ্বিতীয় তলার উপরে কেউ উঠতে পারবে না। বাঁশ দিয়ে দ্বিতীয় তলার চারটি সিঁড়ি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। ৬. দক্ষিণ-পূর্ব কর্নারের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার বাথরুম শুধু মেয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত থাকবে।
৭. একাডেমিক ভবনের উত্তর গেট রাত ৯টার পর শুধুমাত্র বাহির হওয়ার জন্য খোলা থাকবে।
৮. বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ও একাডেমিক ভবনের অভ্যন্তরে ধূমপান ও নেশাজাতীয় দ্রব্য বহন ও সেবন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। কেউ মাদকাসক্ত অবস্থায় ধরা পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হবে।
৯. নির্ধারিত ঘেরাবেষ্টিত (ফেন্স) এলাকায় শুধুমাত্র নবম ব্যাচের রেজিস্টার্ড শিক্ষার্থীরা অবস্থান করতে পারবে।
কেকে/ এমএস