শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫,
১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম: গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে      গুলিস্তানে মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে সার্ভিসের ১১ ইউনিট      ৫ আগস্টের মধ্যেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ : তথ্য উপদেষ্টা      যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সম্ভাবনার হাতছানি      শেখ হাসিনার ফেরার পরিকল্পনা বানচাল      ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক      বাংলাদেশকে আলাদা কোনো শর্ত দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র : প্রেস সচিব      
খোলা মত ও সম্পাদকীয়
জুলাই গণঅভ্যুত্থান : ঐতিহাসিক যোগসংযোগ ও দৃশ্যমান বাস্তবতা
মো. কামরুল হাসান
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ৭:৫৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

বাঙালি যুদ্ধ-বিগ্রহ থেকে উদ্ভূত, প্রতিনিয়ত অস্তিত্বের জন্য রূঢ়-অত্যুগ্র সংগ্রামে অভ্যস্ত একটি জাতি। পৃথিবীতে মুক্তির ও সাম্যের জন্য এত সংগ্রাম করা জাতি বিরল। আর্য, মৌর্য, পাল, সেন, গুপ্ত, ইংরেজদের শাসন ও শোষণে তিলে তিলে ‘বাঙালি’ হয়ে উঠেছে দ্রোহ ও সংগ্রামের স্মারক। সংকর জাতি হিসেবে নানা জাতের সংমিশ্রণ থাকায় বাঙালির চেহারা, গড়ন, রং ভিন্ন-অভিন্ন শুধু অভ্যাস ও স্বভাবে।

বাঙালির আছে অতি আবেগ, অতি দ্রোহ, অতি ভুলোমন। চট করে উত্তেজিত হয়, আবার নস্যি ব্যাপারেও ফ্যালফ্যালিয়ে কাঁদে মূল্যবান চোখের জল খরচ করে, দ্রুত ভুলে যায়! বোকা বাঙালি জাতি বারবার শাসক বদলায়, কিন্তু দাসত্ব ও শাসিত হওয়ার মনোবৃত্তি বদলায় না!

প্রারম্ভিক পর্যায়ে এমন বলাটা অত্যুক্তি মনে হতে পারে, কিন্তু এর সঙ্গে পুরো প্রবন্ধের ঢের যোগ-সংযোগ আছে। চব্বিশের ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর এক বছর হয়ে গেল দেখতে দেখতেই! জুলাই ‘বিপ্লব’ নাকি ‘গণঅভ্যুত্থান’? নাকি কেবল একটি ‘আন্দোলন’—যার তীব্রতা ছিল ব্যাপক? নানা মত-পথের ভিন্নতা থাকলেও ধ্রুব সত্য হলো, জুলাই আন্দোলন ঐতিহাসিকভাবে সত্য, বাঙালি ও বাংলার ইতিহাসে নতুন একটি অধ্যায়ের সংযোজন। এক্ষেত্রে নির্মোহ দৃষ্টিকোণ ও বাস্তবতা আলোকে জুতসই আলোচনা করার সুযোগ আছে।

‘বিপ্লব’ ও ‘গণঅভ্যুত্থান’—ধারণা দুটি ব্যাপক। মৌলিক কিছু মিল থাকলেও ভিন্নতা আছে সামাজিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে।

বিপ্লব একটি মৌলিক পরিবর্তন প্রক্রিয়া যা বিদ্যমান সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর ধ্বংস করে সম্পূর্ণ নতুন একটি দীর্ঘমেয়াদি রাষ্ট্রকাঠামো বিনির্মাণকে নির্দেশ করে, যার গতি দ্রুত, বিস্তৃতি ব্যাপক। যেমন, সামন্তবাদ থেকে পুঁজিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো প্রতিষ্ঠা, রাজতন্ত্র থেকে গণতন্ত্র।

উদাহরণ হিসেবে, ১৯১৭ সালে লেনিন ও বলশেভিক পার্টির নেতৃত্বে হওয়া ‘রুশ বিপ্লব বা বলশেভিক বিপ্লব’, যা জারতন্ত্রের ভিত ধ্বংস করে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে রাশিয়ার পুরো শাসনব্যবস্থা পাল্টে দিয়েছিল! আবার চরম সামাজিক বৈষম্য, তীব্র অর্থনৈতিক সংকট, রাজতন্ত্রের অসহনীয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংঘটিত ১৭৮৯ সালের ‘ফরাসি বিপ্লব’।

অন্যদিকে ‘গণঅভ্যুত্থান’ হলো জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি স্বল্পমেয়াদি বা তাৎক্ষণিক আন্দোলন যা বিদ্যমান শাসনক্ষমতার বিরুদ্ধে বা সুনির্দিষ্ট কিছু দাবি আদায়ে জনতার গণবিস্ফোরণকে নির্দেশ করে। এটি বিপ্লবের মতো কাঠামোগত স্থায়ী অথচ আমূল আনতে পারে না—কেবল সরকার পাল্টায়।

গণঅভ্যুত্থান হলো গণমানুষের অংশগ্রহণে সম্মিলিত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ যা হতে পারে নেতৃত্বহীন বা বিচ্ছিন্ন, হঠাৎ দ্রুত বিস্তার লাভ যার অন্যতম বৈশিষ্ট্য, প্রজন্মের মাঝে আকস্মিকভাবেই প্রবল রাজনৈতিক সচেতনা তৈরি হয়—অন্যদিকে বিপ্লবের নেপথ্যে কোনো ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠীর নেতৃত্বই মুখ্যত থাকে। তাই গণঅভ্যুত্থানে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা নির্দিষ্ট কোনো দলের হয় না।

বাংলাদেশের ১৯৬৯ গণঅভ্যুত্থান এবং অনেকগুলো আরব দেশের মধ্যে সংঘটিত ‘আরব বসন্ত’ (২০১০-২০১১)-এর চমৎকার উদাহরণ হতে পারে। আরব বসন্ত পরবর্তী কিছু দেশে গণতান্ত্রিক ধারা শুরু হয়, আবার লিবিয়া ও সিরিয়ার মতো দেশগুলোতে দেখা যায় চরম বিশৃঙ্খলা, যার সবশেষ পরিণতি হয় ‘গৃহযুদ্ধ’।

তবে সম্প্রতি ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের পতন হয়, তিনি রাশিয়ায় পলায়ন করেন।

২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার গণঅভ্যুত্থান হলেও মাত্র দুই বছরের মধ্যেই একটা অর্থনৈতিক ভঙ্গুর দেউলিয়া রাষ্ট্র ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়।

ছাত্রসমাজের নেতৃত্বে চীনের ‘তিয়ানআনমেন স্কয়ার বিক্ষোভ’ (১৯৮৯), যেটি আলোর মুখ দেখেনি, চীন সেনাবাহিনীর চরম দমননীতির কাছে পর্যদুস্ত হয়, ইতিহাসে সেটি ‘তিয়ানআনমেন স্কয়ার গণহত্যা ১৯৮৯’ হিসেবে সমধিক পরিচিত।

জুলাই আন্দোলনেও শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনী যদি অগত্যা হলেও দেশের সামগ্রিক স্বার্থকে প্রাধান্য না দিয়ে জনতার মুখোমুখি দাঁড়াত—তবে চীনের তিয়ানআনমেনের মতোই হয়তো আলোর মুখ দেখতো না জুলাই!

সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, জুলাই আন্দোলন একটি ‘গণঅভ্যুত্থান’—তবে বিপ্লবের সঙ্গে কিছুটা মিল আছে। মাত্র ৩৬ দিনে ১৫ শত নিরস্ত্র সাধারণ ছাত্র, শিশু, চাষা-ভূষা-মুটে-মজুর, সাধারণ মানুষকে হত্যা, ২৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত যাদের মধ্যে পঙ্গুত্ব, অন্ধত্ব বরণ করছে উল্লেখযোগ্য অংশ, অতএব এত প্রবল রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম গণঅভ্যুত্থান হলেও বিপ্লবের রেশ আছে।

‘জুলাই’-বিপ্লবীদের কাছে নিছক একটি মাসের নাম নয়, বরং প্রবল হৃদয়াবেগে উচ্চারিত সকরুণ আর্তকণ্ঠ, গাঢ় গভীর অস্ফুটে মর্মন্তুদ দুঃখবোধ—যেখানে গণদ্রোহ, দৃঢ়চেতা সাহস, মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ান মানবিক সত্তা জাগ্রত হয়েছে দেশ ও জাতির স্বার্থে, বাঙালির ইতিহাসে যোগ করেছে নতুন মাত্রা, চিন্তায় ফেলেছে দীর্ঘমেয়াদি ছাপ।

অপ্রিয় সত্য—এত প্রাণক্ষয়, রক্ত, ত্যাগের পরেও মাত্র ১ বছরের ব্যবধানে বৈষম্য ও জুলুমের বিষক্রিয়ায় দগ্ধ তরুণ যুবা, চাষা-ভূষা-মুটে-মজুরদের ভগ্নখণ্ড হৃদয়ে হতাশা, গ্লানি আর আফসোসের ঘনঘটা। এত আকাঙ্ক্ষার জুলাই পরবর্তী দেখা গেল—চিত্রটা অভিন্ন, সিস্টেমের পরিবর্তন মোটেও দৃশ্যমান না। এক্ষেত্রে জুলাই হয়ে যায় কেবল একটি গণঅভ্যুত্থান, বিপ্লব নয়।

জুলাই জাতিকে অভূতপূর্ব ঐক্যের ছায়াতলে এনেছে, জেনারেশন জি জানতই না দেশকে যে এত গভীরভাবে তারা ভালোবাসে! ‘আই হেইট পলিটিক্স’ একটি প্রজন্মের মাঝে রাজনৈতিক সচেতনতা ও আগ্রহের জন্ম দিয়েছিল, কিন্তু মাত্র ১ বছরের মাথায় সেই ঐক্যের, দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গভীরভাবে হতাশ! আবারও ‘আই হ্যাট পলিটিক্স’ ধারণাকে আঁকড়ে ধরছে! ‘আইএলটিএস দাও, লাগাও বিদেশ’ ধারণা আবারও গুরুত্ব পাচ্ছে! দেশ পরিবর্তনের প্রবল আশা আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়েছে। এর নেপথ্যে অনেকগুলো কারণ বলা যায়।

প্রথমত, জুলাইকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা। যেটি কস্মিনকালেও সম্ভব নয়—যেহেতু একটি গণঅভ্যুত্থান কার্যত। 

দ্বিতীয়ত, জুলাইয়ের অন্যান্য অংশীজনদের মাইনাস করা।

তৃতীয়ত, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধকে এক জায়গায় দাঁড়া করানোর চেষ্টা। 

চতুর্থত, জুলাইয়ের একটি পক্ষ নজিরবিহীন ক্ষমতা প্র্যাক্টিস, হঠাৎ যেন আলাদিনের চেরাগের দৈত্য পেয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া।

পঞ্চমত, ৫ আগস্ট পরবর্তী বিপ্লবের রেশহীন একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, যার আছে দুর্বলচিত্ত ও দ্বিচারী মনোভাবÑ মব, ধর্ষণ, লুটপাট, চাঁদাবাজির মহোৎসব! 

জুলাই গণঅভ্যুত্থান নতুন করে গণঅভ্যুত্থানকে সঙ্গায়িত করার, নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা ও গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান নেতৃত্বের ধরনও আমূল বদলে দিয়েছে। 

১৬ জুলাই আবু সাইদ, ফারুক, ওয়াসিম, ফয়সাল, শাজাহান শহিদ না হলে জনঅসন্তোষ ও ক্ষোভ এত তীব্রতর হতো না। সুতরাং আবু সাইদরা শহিদ হয়ে গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছেন। যেই নেতৃত্ব গণঅভ্যুত্থান অমোঘ গতি পায়। ১৮ জুলাই বাংলাদেশের প্রাইভেট ও মাদ্রাসা অংশ না নিলে দৃশ্যপট পুরোপুরি ভিন্ন হতো। 

অতএব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শহিদ হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সময়ে সময়ে নেতৃত্বের ধরন পাল্টেছে, গণঅভ্যুত্থানের গতিপথও পাল্টেছে। ঢাকার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় আর ঢাকার বাইরের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গণবিস্ফোরণ হয়েছে কেবলই নিজের ভাই-বোনদের রক্ত দেখে ঘরে বসে না থাকতে পারার দৃঢ় দেশপ্রেম, দেশের নিরীহ মানুষের ওপর পাখির মতো গুলিবর্ষণের মর্মন্তুদ দৃশ্য দেখে একটা ভীতু স্বভাবের মানুষও গলায় পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে যখন রাস্তায় নেমে আসে—তখনই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বা প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব গৌণ হয়ে পড়ে।

মোদ্দাকথা, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব ও অংশীজন ছিলেন বহুমুখী, বহু মত-পথ-শ্রেণির মানুষের সম্মিলিত অংশগ্রহণ। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ সবার ম্যান্ডেট নিয়েই গঠিত! কিন্তু গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেখা গেল, সরকার থেকে জুলাই পক্ষের শক্তি ও ভিকটিমদের যোজন-যোজন দূরত্ব, সংস্কার ও বিচার কার্যক্রমের গতি একেবারেই শ্লথ, জুলাই সনদ, জুলাই প্রোকলেমেশন এখনো দৃম্যমান না, তারা জুলাইকে ওউন করেন না কার্যত—তবে কিছু কিছু মৌলিক ক্ষেত্রে তারা ভালো কাজ করা চেষ্টাও করেছেন।

সরকারকে চাপে রাখা, দমিয়ে রাখার চেষ্টায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বহুমুখী ষড়যন্ত্রের মাঝেও সরকারের কিছু ইতিবাচক চেষ্টা আছে। বিশেষ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রফেসর ইউনূস দায়িত্ব না নিলে—সিরিয়া, লিবিয়ার মতোই হতো দেশ! একটি মেরুদণ্ডহীন, অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর, উৎশৃঙ্খল জাতি নিয়ে দেশ চালান খুব কঠিন। তার নেইম ও ফেইমের বৈশ্বিক ব্রান্ডভ্যালুতে সাম্রাজ্যবাদী রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করা গিয়েছে। কিন্তু মাত্র ১ বছরের ব্যবধানে পুরো জুলাইয়ের তারুণ্য, জনতা হতাশ!

আমরা চেয়েছিলাম জুলাই পরবর্তী হবে এমন একটি নতুন টেকসই সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, দর্শন বা বন্দোবস্ত যা রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রথাগত সিস্টেম বদলে দেবে—ন্যায়, সাম্য ও মানবিক মর্যাদার সঙ্গে নাগরিক জীবন আনন্দে উদ্বেলিত হবে! কিন্তু সবই মরীচিকা!

এদিকে বাঙালির শাশ্বত স্বভাব—প্রাতিস্বিক মন বেমালুম ভুলে যাওয়ার! স্বার্থ ও পরার্থপরতার দ্বন্দ্ব সংঘাতে জরাজীর্ণ এ জাতির জীবনচক্র। স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থই যেখানে মুখ্যত। গণঅভ্যুত্থানের সবচেয়ে বেশি উপকারভোগী পক্ষের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিই হয়ে গেল চরম অকৃতজ্ঞতার স্মারক। ক্ষমতা পেয়ে এপিএস কাণ্ড, বোতলকান্ড, ডিসি নিয়োগ কাণ্ড ইত্যাদির ফলে জনমনে তীব্র অসন্তোষ। সাধারণ মানুষের হৃদয় থেকেও জুলাইয়ের নির্মম হত্যাকাণ্ড, বর্বরতা মুছে গেছে—সাধারণ শিক্ষার্থী যারা ছিল সম্যকসারীর যোদ্ধা, তারা হৃদয়ের ধকল এখনো কাটেনি!

এদিকে ধুকে ধুকে মরছে সন্তান হারা মায়ের মাতৃমন, প্রবল শোক ও শঙ্কায় শহিদ ও আহত পরিবারের সকরুণ হৃদয় ভার! এক অদৃশ্য আতঙ্ক ও বেদনাবোধ গভীর ছাপ ফেলে গেছে তাদের হৃদয় বৃত্তে!

পরিশেষে, এই দেশ স্যাক্রিফাইস ডিজার্ভ করে না, এই দেশে সবাই সাধু শুধু সুযোগের অভাবী। আমাদের বৃহত্তর বাঙালি মগজ মনন চরম পরম অকৃতজ্ঞতা, শঠতা আর কৃতঘ্নতায় ভরা—তবু প্রার্থনা করব জুলাই অমর হোক। 

লেখক : প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

শালিখায় বাড়ছে পাটকাঠির কদর
গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
জামায়াতে এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি : সুমন
সাতক্ষীরায় সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু
গুলিস্তানে মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে সার্ভিসের ১১ ইউনিট

সর্বাধিক পঠিত

‘হেফাজতের সাথে বিএনপির কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নাই’
‘শুধু নির্বাচনের জন্য জুলাই অভ্যুত্থান হয়নি’
সুলতানগঞ্জকে যদি বন্দর করা যায় তাহলে করা হবে: ড. এম সাখাওয়াত
নওগাঁয় চক্ষু হাসপাতালের উদ্বোধন
‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

খোলা মত ও সম্পাদকীয়- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close