গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে স্বামী রাশেদুল ইসলামের বাড়িতে অনশনে বসেছে এক নারী।
রোববার (২৭ জুলাই) উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের মহেশপুর পুর্বপাড়া গ্রামে দেখা গেছে- ওই নারীর অনশনের চিত্র। এসময় উৎসুক জনতার ঢল দেখা গেলেও বাড়ি থেকে পালিয়েছে রাশিদুল ইসলামসহ তার বাবা-মা ও ভাই।
গতকাল থেকে অবস্থান অব্যাহত থাকায় মারধর করাসহ স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার এক নারীর সঙ্গে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ফরিদপুর ইউনিয়নের মহেশপুর পুর্বপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রাশেদুল ইসলামের পরিচয় হয়। এরপর থেকে উভয়ের চলে প্রেম-ভালোবাসা। এভাবে একে অপরের মন দেওয়া নেওয়ার দুই বছর পর গত ১১ জানুয়ারিতে তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। আর নারীটির পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাদে দুজনে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন চট্রগ্রামের সাগরপার এলাকায়। এরই মধ্যে কয়েক দফায় স্ত্রীর কাছে প্রায় দেড় লাখ টাকা নিয়েছে রাশেদুল। এরপর গত ২ জুলাই সকালে নারীটি তার কর্মস্থলে যান। এরই সুযোগে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘরের জিনিসপত্র ও নগদ টাকা নিয়ে গ্রামের বাড়ি মহেশপুরে পালিয়ে আসেন রাশেদুল। এরপর এই স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে মর্মে অন্যত্র আরেক বিয়ে করবেন বলে নারীকে জানায় রাশেদুল। এছাড়াও নানা টালবাহনা শুরু করে এই স্বামী।
এমতাবস্থায় গত শনিবার (২৬ জুলাই) ওই নারী চট্রগ্রাম থেকে সাদুল্লাপুরের স্বামী রাশেদুল ইসলামের বাড়িতে আসেন। তখন রাশেদুল ও তার বাবা, মা, ভাই ও দাদিসহ অনেকে নারীকে পিটিয়ে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এতে নারীটি অসুস্থ হয়ে সাদুল্লাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। সেখান থেকে রোববার দুপুরের দিকে আবারো রাশেদুল ইসলামের বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে অনশনে বসেছেন এই নারী।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ভুক্তভোগি নারী বলেন, স্বামী রাশেদুলের সঙ্গে ঘর সংসারের একপর্যায় দুই মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হয়েছি। আমি স্ত্রী মর্যাদা পাওয়ার জন্য স্বামীর বাড়িতে এসেছি। এখানে আমাকে মারধর করে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি এখনি নিরূপায়। হয় স্ত্রীর মর্যাদা পাব নয়তো এই বাড়িতে জীবন দিব।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী সরকার বাসু বলেন, ইতোমধ্যে ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। এ বিষয়ে বসা হবে।
কেকে/ এমএস