শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫,
১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম: ৫ আগস্ট বিকালে ঘোষণা হবে জুলাই ঘোষণাপত্র      জামায়াত আমিরের ওপেন হার্ট সার্জারি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন      গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে      গুলিস্তানে মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে সার্ভিসের ১১ ইউনিট      ৫ আগস্টের মধ্যেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ : তথ্য উপদেষ্টা      যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সম্ভাবনার হাতছানি      শেখ হাসিনার ফেরার পরিকল্পনা বানচাল      
খোলাকাগজ স্পেশাল
দেশ পরিচালনায় সরকারের ব্যর্থতা দেখছে বিএনপি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১১:৫০ পিএম
ছবি : খোলা কাগজ

ছবি : খোলা কাগজ

দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছে বিএনপি। বিষয়টি নিয়ে দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব বিভিন্ন সময় ক্ষোভও প্রকাশ করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সংস্কার নিয়ে জটিলতা, সরকারের বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীলদের সমন্বয়হীনতাসহ নানা ইস্যুতে সরকারের দিকে অভিযোগের তির দেশের বৃহত্তম এ রাজনৈতিক দলটির। 

সর্বশেষ দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কয়েকজন ব্যক্তিকে বিদেশ থেকে ভাড়া করে এনে দেশ চালানো যায় না। তিনি আরো অভিযোগ করেন, আগে ঘুষ দিতে হতো ১ লাখ টাকা, এখন দিতে হয় ৫ লাখ টাকা। শনিবার সকালে রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন তিনি। 

মির্জা ফখরুল বলেন, কোথাও কোনো সুশাসন নেই, নিয়ন্ত্রণ নেই। পুলিশে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে রাতারাতি সংস্কার করে ফেলা সম্ভব নয়। এ জন্য সময় লাগবে। এ জন্য গণতান্ত্রিক চর্চা বাদ দিয়ে বসে থাকা যাবে না। কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। এ জন্য কোনো রকম বিলম্ব না করে অতি দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। গণতান্ত্রিক উপায়ে জনগণের প্রতিনিধিকে সংসদে পাঠিয়ে সংস্কার করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ সামনে বড় বিপদে ফেলতে পারে। মনে রাখা দরকার, রাজনৈতিক দল দেশের উন্নয়নে জনস্বার্থে সব সময় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনেকেই মনে করছেন, কয়েকজন লোক, সংস্কার যারা করছেন; তারা কতগুলো বৈঠক করে, সংস্কার করে জনগণকে এগিয়ে দিলেন, আর সংস্কার হয়ে গেল? এভাবে সংস্কার হয় না। সংস্কার হতে হবে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া।’ 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনি চাইলেন আর কালকেই পুলিশ ঘুষ খাওয়া বন্ধ করে দেবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। স্ট্রাকচারটা (কাঠামো) তৈরি করতে হবে এমনভাবে, যাতে করে সে ঘুষ না খায়। একইভাবে আমাদের যেই আমলাতন্ত্র, এটা আমাদের উন্নয়নের পথে একটা বড় বাধা। এটা নেগেটিভ ব্যুরোক্রেসি (অদক্ষ আমলাতন্ত্র)। নেগেটিভ ব্যুরোক্রেসিকে এখন পজিটিভ ব্যুরোক্রেসি করতে হলে যা যা করা দরকার, অর্থাৎ মূল কাজ হচ্ছে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা। সেই বিষয়গুলো করতে হবে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে নির্বাচন প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘কয়েকজন ব্যক্তিকে বিদেশ থেকে ভাড়া করে এনে কি দেশ চালানো যায়? যায় না। এই সহজ-সরল কথাটা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে।’

পিআর বা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনপদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কিছু কিছু রাজনৈতিক দল বিভিন্ন রকম কথা বলতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক নেই। খুব জোর গলায় বলছে, পিআর পদ্ধতির নির্বাচন। আনুপাতিক হারের নির্বাচনটা কী, তা সাধারণ মানুষ বোঝেই না। আনুপাতিকটা কী জিনিস, সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন, বলতে পারবেন না।

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিএনপি ও বাংলাদেশের বর্তমানের সমমনা দলগুলো ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করেছিল। কিন্তু ড. ইউনূস ও উপদেষ্টা পরিষদ বাংলাদেশকে জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র করতে এবং জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকি যারা জুলাই-আগস্টে আহত হয়েছে তাদেরও কোনো খোঁজ-খবর নিচ্ছে না। তাদের মূল্যায়নও করতে পারেনি। ১৬ বছর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে বিএনপি। আমরা চেষ্টা করেছি দুঃশাসন রোধ করতে।

গতকাল দুপুরে ভোলার লালমোহন উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির লালমোহন উপজেলা ও পৌরসভা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

তিনি আরো বলেন, যারা বাংলাদেশকে দেখে নাই, দেশ ও দেশের গ্রামাঞ্চল সম্পর্কে জানে না তারা এখন একের পর এক সংস্কার প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছে। তার একটা হলো পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। যার অর্থ হলো আনুপাতিক হারে ভোট হবে। যারা ভোটার এবং যাকে ভোট দেবে তারা প্রার্থীর চেহারা দেখতে পাবেন না। কিন্তু অধিকাংশ রাজনৈতিক দল যারা ভোট পাবে না তারা বলেছে আমাদের দল ভোট করে দেবে। সেখানে দলের ওপরে ছেড়ে দিতে হবে। কোনো ব্যক্তিকে ভোট দিতে হবে না। এটাই হলো পিআর। কিন্তু বিএনপি চায় ব্যক্তিকে বিবেচনা করে ভোট দেবে। একজন মানুষের গুণাগুণ বিচার করে, অতীতে তিনি জনগণকে কী ধরনের সার্ভিস দিয়েছেন, কোনো ভালো কাজ করেছেন কিনা সেটা দেখে শুনে জনগণ ভোট দেবে। এটা বিএনপির দাবি।  

লালমোহন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তাহারাত হাফিজ অর্কের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আ. ক. ন. কুদ্দুসুর রহমান এবং উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা জেলার সমন্বয়ক আবু নাসের রহমত উল্যাহ।
 
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলার বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউর রহমান কিরন, সদস্য সচিব রাইসুল আলমসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। 

আলোচনা সভা শেষে কাউন্সিলরদের সম্মতিতে প্রস্তাব ও সমর্থনের মধ্যদিয়ে উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। এতে উপজেলা পর্যায়ে সভাপতি নির্বাচিত হন মো. জাফর ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম বাবুল এবং পৌরসভা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন সাদেক মিয়া ঝান্টু ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবুল পাটওয়ারী।

কেকে/ এমএস
আরও সংবাদ   বিষয়:  দেশ পরিচালনা   সরকার   ব্যর্থতা   বিএনপি  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন
ডিএনএ’র মাধ্যমে সনাক্ত হবে মরদেহ, পরিবার চাইলে নিতে পারবেন গ্রামে
যুক্তরাষ্ট্র না রাশিয়া, সাগরের তলদেশের শক্তিতে কে এগিয়ে?
আশুলিয়ায় আওয়ামী লীগের ৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার
চাটমোহরে ভাঙা রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

সর্বাধিক পঠিত

‘শুধু নির্বাচনের জন্য জুলাই অভ্যুত্থান হয়নি’
‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
একমণ চালের দামেও মিলছে না এক কেজি ইলিশ
শেখ হাসিনার ফেরার পরিকল্পনা বানচাল
সালথায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন গ্রেফতার

খোলাকাগজ স্পেশাল- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close