বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫,
২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম: আন্দোলনরত শিক্ষকরা কাজে না ফিরলে আইনি ব্যবস্থা      রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ইসিকে তফসিল দেওয়ার আহ্বান নাহিদের      খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা      অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে জিরো টলারেন্স নিশ্চিত করতে হবে : উপদেষ্টা ফরিদা      প্রবাসীরা ৬০ দিনের বেশি দেশে থাকলে ফোন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে      এভারকেয়ারের পাশে সেনা-বিমান বাহিনীর মহড়ায় বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ      শীত নিয়ে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর      
খোলাকাগজ স্পেশাল
গণতন্ত্র উত্তরণে এখনো অনিবার্য খালেদা জিয়া
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৫১ এএম
ছবি : খোলা কাগজ

ছবি : খোলা কাগজ

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফুসফুসে সংক্রমণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় তার অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় কয়েক দিন ধরে তাকে রাখা হয়েছে আইসিইউ- সমমানের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ)। ৮০ বছরের এ নেত্রীকে নিয়ে গভীর উদ্বেগে রয়েছেন রাজনৈতিক অঙ্গনসহ দেশের কোটি মানুষ। 

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন গণমাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন খালেদা জিয়া। অথবা বলা যায়, তিনি চিকিৎসা মেইনটেন করতে পারছেন। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য এ মুহূর্তে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, গণতন্ত্র উত্তরণের এ সময়ে বেগম খালেদা জিয়া এখনো অনিবার্য। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশের জন্য খালেদা জিয়ার ত্যাগকে অতি গুরত্বপূর্ণ। তার অসুস্থতা সত্ত্বেও অভ্যুত্থানপরবর্তী বর্তমান রাজনৈতিক পেক্ষাপটে বিএনপির চেয়ারপারসনের মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের চিন্তা ও মতামত এ মুহূর্তে ভীষণ জরুরি।

তাদের শঙ্কা, বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিততে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ। কারণ, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান এখন দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে। সম্প্রতি তার জন্য দোয়া চাইতে গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন- ‘গণতান্ত্রিক উত্তরণের এই সময়ে খালেদা জিয়া জাতির জন্য ভীষণ রকম অনুপ্রেরণা।’

দেশের বর্তমান পেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ হয়ে ওঠা কতটা গুরুত্বপূর্ণ জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সারা জীবন দেশ ও জনগণের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করতে গিয়ে তিনি নিষ্ঠুরভাবে ফ্যাসিস্ট শাসকদের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন। এ নির্যাতন এতটাই কঠোর ছিল যে, তিনি অসুস্থ হয়েছেন এবং তার জীবন বিপন্ন অবস্থায় পড়েছে। দেশের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন। তবুও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। তাই তো দেশের প্রতিটি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল এবং সব শ্রেণিপেশার মানুষ তার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এটি একজন রাজনৈতিক অভিভাবকের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়।

মাহবুব উল্লাহ বলেন, জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পর খালেদা জিয়া দেশের রাজনীতিতে একজন দিশারীর ভূমিকা পালন করেছেন। দেশের একজন মুরুব্বি ও অভিভাবক হিসেবে তার নীরব, নিঃশব্দ অনেক ভূমিকা দৃশ্যমান। মূলত তার উপস্থিতিই আগামীর প্রত্যাশিত গণতন্ত্রের জন্য বড় অনুপ্রেরণার শক্তি। তার এ অভিভাবকত্বকে সব রাজনৈতিক দল শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করেছে। এ অভিভাবকসুলভ চরিত্র তাকে আজীবন অমর করে রাখবে। এরই মধ্যে ইতিহাসে তার গৌরবোজ্জ্বল স্থান নির্ধারিত হয়ে গেছে।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপির তখন কঠিন দুঃসময়। দেশে চলছে এরশাদের সমারিক শাসন। গভীর সংকটে দেশ। সেসময় ঘোর অনীহা সত্ত্বেও প্রথমে কর্মী এবং পরে দলের হাল ধরতে রাজনীতির মাঠে নামতে হয় বেগম খালেদা জিয়াকে। সেই থেকে শুরু তার চার দশকের রাজনীতির পথচলা। এরইমধ্যে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সাহসী নেতৃত্ব দিয়ে দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন আপসহীন নেত্রী। রাজনৈতিক অঙ্গনে পা রাখার আট বছরের মাথায় হন দেশের প্রথম নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরোতে হয় তাকে। কখনো সরকারপ্রধান কখনোবা বিরোধী দলের নেত্রী হয়ে সরব ছিলেন রাজপথে। এক-এগারোর সরকারের সময় এবং আওয়ামী সরকারের সময় খালেদা জিয়ার দুঃসহ কারাবন্দি জীবন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অন্যতম ট্রাজেডি।

গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতিজ্ঞা এবং প্রতিশ্রুতিকে অগ্রগণ্য স্মরণ করেন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়াই রাজনৈতিক ঐক্যের প্রতিশব্দ উল্লেখ করে ইতিহাসবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়ার যে আপসহীন সংগ্রাম সেটিই তাকে এই মুহূর্তে একজন অনিবার্য রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশের অভিভাবকে পরিণত করেছে। এ মুহূর্তে তার উপস্থিতি খুবই দরকার। দলটির নেতাকর্মীদের কাছে বেগম জিয়া এক কথায় ‘সিম্বল অফ ইউনিটি’। দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছেও তিনি অনন্য ব্যক্তিত্ব। বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ পথচলায় বিভিন্ন সময়ে তাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার চেষ্টাও কম হয়নি। কিন্ত তার তুমুল জনপ্রিয়তা সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকায় বিএনপি চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে বর্তমান বাস্তবতায় দেশ ফের ঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দুর্নীতির মামলায় কারাবরণ এবং এরপর শারীরিক অসুস্থতা।

২০১৮ সাল থেকেই বিএনপির রাজনীতিতে অনেকটাই নিক্রিয় বেগম খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনার প্রতিষ্ঠিত স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর লড়াই করেছে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন দলটি। এর মাশুল দলের অসংখ্য নেতাকর্মীর মতো দিয়েছেন খালেদা জিয়াও। অত্যন্ত খারাপ শারীরিক অবস্থায়ও দীর্ঘদিন তিনি অন্যায়ভাবে জেলে আটক ছিলেন। যে অসুস্থতার কারণে তিনি আজ মৃত্যুর মুখোমুখি, সেটি বেড়ে যাওয়ার পেছনে হাসিনা সরকারের ষড়যন্ত্র ক্রিয়াশীল ছিল- এমন অভিযোগও আছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অসুস্থতা কিংবা রাজনীতির মাঠে সশরীরে অনুপস্থিত থাকলেও এখনো তিনি দলের লাখো কর্মীর আবেগ আর অনুপ্রেরণার কেন্দ্রবিন্দু।

বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বিশ্লেষক ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়া রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে এত বছর ধরে দেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুদ্ধ করেছেন। অনেক কষ্ট পেয়েছেন, জেলে গেছেন এবং অনেক কটুকথা শুনেছেন। কিন্তু তিনি পাল্টা প্রতিশোধ নেননি। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তিনি দেশ ছেড়ে যাননি।

দিলারা চৌধুরী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সব সময় বলেছেন, ‘এই দেশ আমার, এই দেশ ছেড়ে কোনো দিনই যাব না, এই জনগণের সঙ্গে আমি থাকব।’ সেজন্য সব রাজনৈতিক দল, মত, নির্বিশেষে সবার কাছে তিনি একটি জায়গায় পৌঁছে গেছেন। যাকে আমরা বলি ‘মুরুব্বি’। যার দিকে সবাই উপদেশের জন্য তাকিয়ে থাকে। সে রকম একটা জায়গায় তিনি পৌঁছে গেছেন। এ মুহূর্তে তার সুস্থ হয়ে ফিরে আসা দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

দলীয় চেয়ারপারসনের সুস্থ হয়ে ফিরে আসার প্রতীক্ষায় এখন দল ও গোটা দেশ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের দলীয় চেয়ারপারসন এ দেশের গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার জন্য আপসহীন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি শুধু বিএনপি নয়, এ দেশের সাধারণ মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক। তিনি আছেন গণতন্ত্রের দৃঢ়তম প্রতীক হিসেবে। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংকটাপন্ন অবস্থায় এখন আছেন হাসপাতালে। আমরা সবাই তার রোগ মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে দোয়া করছি। নিশ্চিই তিনি দ্রুতই আমাদের মঝে ফিরে আসবেন।’

জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ ও দৃঢ় অবস্থান দেশের জন্য এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায় উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রামে সব সময়ই আমাদের নেত্রী আপসহীন। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তার সুস্থতা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার জন্য অপরিহার্য।’

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলেন বাংলাদেশের কোটি কোটি প্রতিবাদী মানুষের কণ্ঠস্বর, এমনটাই উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘রাজপথে আন্দোলন করে সম্মুখ দ্বার দিয়ে প্রবেশ করে তিনি রাজনীতিতে তার আসন প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং দেশের বঞ্চিত মানুষের গণতান্ত্রিক তথা অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। শুধু তাই নয়, নীতির প্রশ্নে তিনি চিরদিন ছিলেন অবিচল। আর সে কারণেই এ দেশের মানুষ ভালোবেসে তাকে উপাধি দিয়েছে আপসহীন নেত্রী।’

খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, গত ২৭ নভেম্বর থেকে বেগম খালেদা জিয়া সিসিইউতে রয়েছেন। তিনি মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন।

গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পাশাপাশি আমেরিকা (জনস হপকিন্স), ইউকে (লন্ডন ক্লিনিক) এবং চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ মেডিকেল টিমের অধীনে তার চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

গত রোববার থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ায় তার অবস্থা সংকটময় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে খালেদা জিয়াকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিয়ে চিকিৎসকরা নিবিড়ভাবে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।

এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। এ বোর্ডে তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান, যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরাও রয়েছেন। 

লন্ডন থেকে জিয়ার জ্যেষ্ঠ ছেলে তারেক রহমান সর্বক্ষণ মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগে সমন্বয় করছেন। বিদেশি চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডে পরামর্শে চলছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা।

এভারকেয়ার হাসপাতালে এসএসএফের নিরাপত্তা : সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (ভিভিআইপি) ঘোষণার পর তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেছে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে এসএসএফের গাড়ি প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি বলেন, দুপুর ২টা ২০ মিনিট থেকে ভিভিআইপি বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) কয়েকজন সদস্য রাজধানীর হাসপাতালে এসে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত সরকারের প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের একটি বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয় এবং জাতির কাছে তার জন্য দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, সভায় খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় হাসপাতালে তার নির্বিঘ্ন চিকিৎসা, প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা, তার নিরাপত্তা ও যাতায়াতের সুবিধা এবং উচ্চ মর্যাদা বিবেচনায় তাকে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকরের জন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার পরিবার ও দল অবগত রয়েছে।

কেকে/এআর
আরও সংবাদ   বিষয়:  খালেদা জিয়া   বিএনপি চেয়ারপারসন  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

হামজা-শমিতদের ম্যাচ থেকে ৪ কোটির বেশি আয় বাফুফের
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে যোগ দিলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার
চিরিরবন্দরে বাস–ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ৩
দশমিনায় মৎস্য মেরিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

সর্বাধিক পঠিত

বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বান্দরবানে প্রার্থনা সভা
সাভারে টিভি সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরসি'র আত্মপ্রকাশ
ফটিকছড়িতে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান
চিরিরবন্দরে বাস–ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২
বিএনপি নেতার পুকুরে বিষপ্রয়োগ

খোলাকাগজ স্পেশাল- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close