কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে জাতীয়তাবাদী শক্তির একজন অগ্রগামী ও আদর্শিক সংগঠক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বিএনপির রাজনীতিতে নিষ্ঠা, সততা ও ত্যাগের প্রতীক হিসেবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। রাজপথের দুর্দিনে বারবার নিঃশর্তভাবে দলের পাশে দাঁড়ানো এ নেতা ছাত্রদলের সূচনালগ্ন থেকেই আন্দোলন-সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছেন।
অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক, করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতির দায়িত্বে থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী ও গতিশীল করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন।
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তিনি দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত একজন গ্রহণযোগ্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। আগামি ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি। তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা দিনদিন দৃঢ়তর হচ্ছে।
বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচিকে সামনে রেখে তিনি গণজাগরণ সৃষ্টিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি হাটে-ঘাটে, শহরে-গ্রামে ছুটে চলেছেন নিরবচ্ছিন্নভাবে—উঠান বৈঠক, পথসভা ও গণসংযোগের মধ্য দিয়ে মানুষের হৃদয়ে গেঁথে দিচ্ছেন ধানের শীষের বার্তা।
সম্প্রতি করিমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ ও পথসভায় অংশগ্রহণ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করে আজ জনগণকে অধিকারবঞ্চিত করেছে। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপিই একমাত্র দল, যারা জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করে যাচ্ছে। তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি হচ্ছে এই দুঃসময়ের মুক্তির রূপরেখা।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি কেবল একটি দল নয় এটি এক আদর্শিক আন্দোলনের নাম। এ দলের নেতৃত্বে আছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং আগামীদিনের রাষ্ট্রনায়ক দেশনায়ক তারেক রহমান। এই নেতৃত্বই পারে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তির পথে এগিয়ে নিতে, এখন সময় ঘরে বসে থাকার নয়। সময় এসেছে রাজপথে নামার, ঘরে ঘরে ধানের শীষের বার্তা পৌঁছে দেয়ার। এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
জনতার নেতা অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা রাজনীতিকে শুধুই বক্তৃতা বা প্রচারনায় সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি মানুষের পাশে থেকে, দুঃখ-সুখে অংশ নিয়ে রাজনীতিকে মানবিক ও জনগণের প্রয়োজনের সঙ্গে একীভূত করেছেন। সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় তিনি কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির অন্যতম যোগ্য প্রতিনিধি। দলীয় নেতৃত্ব ও তৃণমূলের দাবি—এই সংগ্রামী নেতার হাত ধরেই ধানের শীষের বিজয় আসবে, গণতন্ত্র ফিরবে, দেশ মুক্তি পাবে।
কেকে/ এমএস