নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ভবনকে ধুমপানমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) বিকালে একটি বেসরকারি সংস্থার আলোচনা সভায় এ ঘোষণা দেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক এ এই এম কামরুজ্জামান। শুধু সিটি কর্পোরেশন ভবন প্রাঙ্গণই নয়, পর্যায়ক্রমে সিটি কর্পোরেশনের আরো তিনি কার্যালয়কে এ ঘোষণার আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
বুধবার সিটি কর্পোরেশনের কনফারেন্স রুমে নারী মৈত্রী নামের একটি বেসরকারি সংস্থা ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কার্যালয় ধূমপানমুক্ত ঘোষণা এবং টেকসই তামাক নিয়ন্ত্রণ উদ্যোগ গ্রহণ’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এখন থেকে সিটি কর্পোরেশন ভবনের অভ্যন্তরে যেকোনো ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয় ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
সভায় এ এইচ এম কামরুজ্জামান আরো বলেন, ধূমপানের কারণে পাশে থাকা অধূমপায়ীরাও সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই অধূমপায়ীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সিটি কর্পোরেশন তার নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দায়বদ্ধ-এই দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সিটি কর্পোরেশনের সচিব নূর কুতুবুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ।
নারী মৈত্রী তামাকবিরোধী মায়েদের ফোরামের আহ্বায়ক শিবানী ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে এ সময় কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, নারী মৈত্রী ইয়ুথ ফোরামের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, সিটি কর্পোরেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মস্থল। প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের এখানে যাতায়াত ঘটে। কর্মস্থলে ধূমপানের ফলে অধূমপায়ীরাও পরোক্ষভাবে ক্ষতির শিকার হন। সিটি কর্পোরেশনকে ধূমপানমুক্ত করা গেলে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে এই মানুষগুলো রক্ষা পাবে। তাই আমরা এই ধূমপানমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গড়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
অধ্যাপক শিবানী ভট্টাচার্য বলেন, এই ধূমপানমুক্ত ঘোষণা শুধু একটি কার্যালয়ের সীমাবদ্ধ উদ্যোগ নয়, এর মাধ্যমে একটি বড় সামাজিক পরিবর্তনের শুরু হতে পারে। দেশে আইন রয়েছে, কিন্তু এর প্রয়োগ নেই। এ বিষয়ে আইনের কঠোর প্রয়োগ দরকার। শুধু ঘোষণাই নয়, নিয়মিত এর তদারকিও করতে হবে।
অনুষ্ঠানে নারী মৈত্রী টোব্যাকো কন্ট্রোল প্রজেক্টের প্রকল্প সমন্বয়কার নাসরিন আক্তার তামাকের ভয়াবহতা তুলে ধরে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
কেকে/এআর