গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ব্র্যাক শিখা প্রকল্পের আওতাধীন জেন্ডার-বেসড ভায়োলেন্স (জিবিভি) প্রতিরোধে কর্মপরিকল্পনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) সকালে কাপাসিয়া হরিমঞ্জরী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এ কর্মপরিকল্পনা ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে (ফোকাল গ্রুপ ডিসকাসন) এফজিডি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্র্যাক-শিখা ‘প্রতিরোধ এবং সহায়তা ব্যবস্থা জোরদারের মাধ্যমে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা, বুলিং, যৌন হয়রানিমুক্ত পাবলিক এবং প্রাইভেট স্পেস তৈরি করা।’ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত চার বছর মেয়াদি প্রকল্পটি ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে জানুয়ারি ২০২৯ পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে।
কাপাসিয়া হরিমঞ্জরী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধন শিক্ষক মো. আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল আরিফ সরকার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা মহিলা দলের সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসী, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য নুরুজ্জামান।
উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সাংবাদিক, স্কুল পরিচালনা কমিটি ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য এবং ব্র্যাক প্রতিনিধিগণ। সভায় ব্র্যাক শিখা প্রকল্পের মাধ্যমে কীভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সমাজে বিদ্যমান নারী ও মেয়ে শিশুদের প্রতি যৌন হয়রানি, বাল্যবিবাহ, বুলিং-এর মতো অপরাধ কমানো যায় সে বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা করা হয়।
কর্মপরিকল্পনায় ব্র্যাক-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা শিখা প্রকল্পের টেকনিক্যাল ম্যানেজার মো. হাবিবুর রহমান, প্রজেক্ট অফিসার তাজুল ইসলাম ও ভলান্টিয়ার ফারহানা তাজনীনসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।
শিখা প্রকল্পটি মূলত গাজীপুর জেলার স্থানীয় সরকার, জন প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের মুখপাত্র ও স্থানীয় সংগঠনকে সম্পৃক্ত করে জেলায় চার বছরে ৫৫টি মাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রাসা, গণপরিবহন, তৈরি পোশাক কারখানা, ডিজিটাল প্লাটফর্ম, কমিউনিটিতে যৌন হয়রানি ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে গণসচেতনতা তৈরি, প্রতিরোধ ও সহায়তা ব্যবস্থা, আইনি সহায়তা এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালীকরণে ভূমিকা রাখবে।
কেকে/এএস