নীলফামারীতে তিস্তা সেচ প্রকল্পের দিনাজপুর সেচ খালের বাঁধ ভেঙে ৩০ একর জমির আমন ধানের সদ্য রোপিত চারা নষ্ট হয়েছে। এতে করে ওই সেচ খালে জেলা সদরের চাঁদেরহাট স্লুইচ গেট থেকে দিনাজপুরের খানসামা ও চিরিরবন্দর এলাকায় খরিপ-২ মৌসুমের সেচ প্রদান বন্ধ রয়েছে। বিধ্বস্ত স্থানে মাটি ও জিওব্যাগ ফেলে মেরামতের কাজ চলছে।
রোববার সকাল ১১টার দিকে জেলা সদরের কালিতলা ভাট্টাতলি নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
কালিতলা ভাট্টাতলি গ্রামের কৃষক ইউনুছ আলী (৪৫) বলেন, গত কয়েকদিন ধরে অনাবৃষ্টিতে ক্যানেলের সেচের পানির চাহিদা বৃদ্ধি পায় কৃষকদের মধ্যে। ওই পানি দিয়ে কৃষকরা রোপা আমন ধানের চারা রোপণের কাজ চলছিল এলাকায়। শনিবার রাতে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় সেচখালে পানি বৃদ্ধি পায়। এতে করে ইঁদুরের গর্তের কারণে সেচ খালে বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। রোববার সকালে পানির চাপে ওই ফাটল স্থান বিধ্বস্ত হলে আবাদি জমিতে পানি প্রবেশ করায় এলাকার প্রায় ৩০ একর রোপা আমন ধান ক্ষেতের সদ্য রোপিত চারা পানির নিচে তলিয়ে যায়।
অপর কৃষক মোজাম্মেল আলী (৫০) বলেন, ‘আমার পাঁচ বিঘা জমির রোপা আমন ক্ষেত পানির নীচে তলিয়ে গেছে। এলাকার অনেক কৃষক আমার ন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নতুন করে চারা রোপণ করতে হবে’।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে রাতে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে খালের পাড়ের মাটির উপর চাপ পড়ে। এতে ইঁদুরের গর্তে পানি ঢুকে পাড়ের ৩০ ফিট বিধ্বস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে জিওব্যাগ ও মাটি দিয়ে ভাঙা অংশ মেরামত করা হচ্ছে। আশা করি আগামী দুই দিনের মধ্যে ওই খাল দিয়ে স্বাভাবিক সেচ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে’।
উল্লেখ যে, তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে গত পহেলা জুলাই থেকে ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে তিস্তা সেচ প্রকল্পের খরিপ-২ মৌসুমী আমন ধান উৎপাদনে সেচ কার্যক্রম শুরু হয়। এ মৌসুমে ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে নীলফামারী জেলায় ৩৯ হাজার, রংপুর জেলায় ১৪ হাজার এবং দিনাজপুর জেলায় ১০ হাজার হেক্টর রয়েছে।
কেকে/ এমএস