চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় খাল থেকে সন্তোষ চন্দ্র নাথ (৪০) নামে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের ১১ দিন পর ওই ব্যক্তির লাশ খালে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ যেয়ে লাশ উদ্ধার করে।
রোববার (২০ জুলাই) দুপুর ১২টায় উপজেলার লেলাং ইউনিয়নের লালপুলসংলগ্ন এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি লেলাং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সীমান্ত মহাজন বাড়ির পরিমল চন্দ্র নাথের পুত্র।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সকালে খালে একটি মরদেহ হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায়। যাতে পচন ধরে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। তখন এলাকাবাসী বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মরদেহ উদ্ধারের সময় হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ও মুখমণ্ডলে পলিথিন মুড়ানো ছিল এবং শরীরে পচন ধরে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। অধিকতর তদন্তে পুলিশ কাজ করছে।
নিহতের বাবা পরিমল চন্দ্র নাথ বলেন, আমার ছেলে অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি কিছু ছোটখাটো ব্যবসা করত। গত ৯ জুলাই সন্তোষ ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। আমরা ঘটনার পরদিন থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছি। লেনদেন নিয়ে কারো সঙ্গে বিরোধ থেকে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।
ঘটনাস্থলে থাকা নিহতের স্ত্রী ঝর্না রাণী নাথ বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘আমার স্বামী গত কয়েকদিন আগে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। আজকে লাশ হয়ে ফিরল। এখন দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে কীভাবে বাঁচব!’
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আহমেদ বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি।
লাশ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মুহাম্মদ তারেক আজিজ।
কেকে/এএস