বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী ঐতিহ্যবাহী আম উৎপাদন অঞ্চল, নিরাপদ, টেকসই ও সমৃদ্ধ আম বাণিজ্যের এক নব দিগন্ত উন্মোচনের আশায় নওগাঁর সাপাহারকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি করতে দেশে এই প্রথম দুই দিনব্যাপী ‘ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল’-এর উদ্বোধন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসন নওগাঁ ও উপজেলা প্রশাসন সাপাহারের আয়োজনে সাপাহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম আহমেদের সভাপতিত্বে এর উদ্বোধন করেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল।
এ সময় প্রধান অতিথি মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল জানান, এই উপজেলায় আম চাষি প্রায় ২০ হাজার, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা ১.২০ লাখ মেট্রিক টন আম। আম বাজার কেন্দ্রিক আর্থিক লেনদেন হবে ৩.৫ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা।
মেলায় প্রথম দিনে ১০০ জনের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ (উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে নিরাপদ আম উৎপাদন) এবং আমের জাত প্রদর্শনী, সেমিনার প্রোডাক্ট সিপ্টমেন্টের কুরিয়ার সুবিধা। এ ছাড়াও বিকালে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে সেমিনার (আম বাজারজাত, প্রক্রিয়াকরণ ও রফতানিকরণে আধুনিকায়ন) এবং বিকালে থাকবে আমভোজন প্রতিযোগিতা। শেষে সেরা আমচাষিদের পুরস্কার/সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
‘ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল’ নিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নওগাঁ খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ।
কৃষি উদ্যোক্তা ও বরেন্দ্র এগ্রোপার্কের পরিচালক সোহেল রানা জানান, বর্তমানে এই উপজেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আম্রপালি, বারি-৪, হিমসাগর (ক্ষীরসাপাত), নাগ ফজলি, ল্যাংড়া, ব্যানানা ম্যাংগোসহ বিভিন্ন জাতের সুস্বাদু আম চাষ হয়ে থাকে। কৃষকের কষ্টের ফসলকে এবং কৃষককে বাঁচাতে হলে দ্রুত আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং ভেজাল কীটনাশক বিক্রেতাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
কৃষকের বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধা নিয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বেনু চৌধুরী, আল হেলাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম, উপজেলা জামায়াতের আমির আবুল খায়ের তরুন, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
ম্যাংগো ফেস্টিভ্যালে ৪০টি স্টল স্থান পায়। এখানে আমসহ আমের তৈরি বিভিন্ন রকমের আচার, আমসস্ত, আমের পিঠা, বিভিন্ন জাতের আমের চারা গাছ বিক্রয় প্রদর্শনী করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের সকল দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আমচাষি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/এএম